হাতির আনাগোনা রুখতে সামনে ঐরাবত (দফতরের বিশেষ গাড়ি), পিছনে পরীক্ষার্থীদের গাড়ি। গুড়গুড়িপাল থেকে নয়াগ্রামের যাওয়ার জঙ্গল পথে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডলয়।
শীতের সকালে ঘন কুয়াশার ঝোড়ো ব্যাটিং। অন্য দিকে, দাঁতালের আনাগোনা। সেই সঙ্গে পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়। সব মিলিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। চিন্তায় ছিলেন অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই। তবে মাধ্যমিকের প্রথমদিন কাটল নির্বিঘ্নেই। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথে দাঁতালের আনাগোনা রুখতে শুক্রবার সকাল থেকেই বাড়তি সতর্ক ছিল বন দফতর। তৈরি ছিল হুলাপার্টি, ‘ঐরাবত’ও।নতুন সময়ের গেরোয় কার্যত ভোর রাতে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়েছে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। পরীক্ষা শুরু পৌনে দশটায়। আর সকাল ১০টা পর্যন্ত ছিল কুয়াশার দাপট। জঙ্গল এলাকায় হাতির দলও ছিল। তবে হাতির জেরে কাউকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। যে সব এলাকায় হাতি ছিল, সেখানে হুলাপার্টির সদস্যরা বিশেষ ‘করিডর’ করে রেখেছিলেন। পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে দুই জেলা রয়েছে প্রায় ১০০’র কাছাকাছি হাতি। এক বনকর্তার কথায়, ‘‘হাতি সাধারণত সকালেই যাতায়াত করে। এই সময় দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে।’’
এ দিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের জঙ্গল লাগোয়া একতাল ডিএম হাই স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছিল বিরিহাঁড়ি হাই স্কুলের পড়ুয়াদের। জঙ্গলপথ পেরিয়েই যেতে হয়েছে তাদের। হুলাপার্টির সদস্য বলরাম মান্নার কথায়, ‘‘জঙ্গলে হাতি থাকায় আমরা রয়েছি।’’ জঙ্গল রাস্তায় যাতায়াতকারী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাবুরাম মুর্মু বলে, ‘‘বন দফতরের লোকজন থাকায় সমস্যা হয়নি।’’ লোধাশুলি রেঞ্জের জারুলিয়ায় ১৬টি হাতি ছিল। বৃন্দাবনপুরে দু’টি, পুকুরিয়ায় একটি, বাঁদরভুলায় একটি হাতি ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy