নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল শেষকৃত্যের কাজ। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ ময়নার গোড়ামহল গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় মৃতদেহ সৎকারের কাজ। ভিড় বাড়তে থাকে নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে। শ্রদ্ধা জানাতে চলে আসেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল শেষকৃত্যের কাজ।
বাকচার গোড়ামহল গ্রামে সোমবার বিকেলে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টা ময়নায় বন্ধ কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারও ময়নায় মিছিল করে গেরুয়া শিবির। এর পর রাতেই কলকাতার কমান্ড হাসপাতাল থেকে ময়নার বাড়িতে ফেরে বিজয়কৃষ্ণের দেহ। এই মুহূর্তে থমথমে পরিস্থিতি গোড়ামহল গ্রামে। বিজেপি নেতা খুনে ইতিমধ্যেই বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাকচার ৩৪ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিলের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, বাকচার মাটি তাঁরা ছাড়বেন না। তিনি বলেন, ‘‘সামনের লোকসভা নির্বাচনে এই বাকচার অবদান সব চেয়ে বেশি হবে। তাই এখান থেকে আমরা সরছি না।’’ হুঁশিয়ারিও দেন, সময় মতো গণআন্দোলনেরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
তার প্রেক্ষিতে তমলুক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “বিজেপি ময়নায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। সেই কারণে ওরা ময়নায় অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে। তবে তৃণমূল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাবে। আমরা মারামারির রাজনীতি পছন্দ করি না। আগামী দিনে নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy