Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Durga Puja 2020

নিষেধ উড়িয়ে পথে বিসর্জনের শোভাযাত্রাও

শোভাযাত্রা দেখার জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দর্শকেরা ভিড় করলেও তা হালকা ছিল।

বিসর্জনের শোভাযাত্রা। কাঁথিতে।

বিসর্জনের শোভাযাত্রা। কাঁথিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতিতে বিসর্জনের শোভাযাত্রা করা যাবে না বলে নির্দেশ ছিল। তা সত্ত্বেও বাদ গেল না বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তবে হাতে গোনা কয়েক জনকে নিয়ে সোজা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা তুলে বিসর্জন দেওার ছবিও দেখা গিয়েছে দশমী ও তার পরের দিন। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের আগে দশমীর রাতে বক্স বাজিয়ে চলল উদ্দাম নৃত্য বাদ যায়নি।

ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দেখার ভিড় তেমন ছিলনা। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে দশমীতে বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলের। সোমবার দুপুর থেকে কাঁথি শহরে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। এদিন সকালে কিশোরনগর গড়ের রাজবাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়। রাজবাড়ি থেকে সোজা প্রতিমা চলে যায় বিসর্জন ঘাটে। তবে প্রতিমার সঙ্গে শোভাযাত্রায় বহু মানুষকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। একই ভাবে কাঁথি শহরের রাজাবাজার এলাকার একটি দুর্গাপুজোর প্রতিমা শহরের একাধিক রাস্তা পরিক্রমা করানোর পর ক্যানাল পাড়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে পুজোর উদ্যোক্তাদের মাত্র কয়েক জন পরিক্রমায় ছিলেন। সরস্বতী তলা এলাকার একটি মণ্ডপ থেকে সোজা প্রতিমা রিকশায় চাপিয়ে বিসর্জন ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও হাতেগোনা দু’একজন ক্লাব সদস্য হাজির ছিলেন। তবে শহরের ক্যানাল পাড় এবং শহর সংলগ্ন মুকুন্দপুর এলাকায় একাধিক পুজো মণ্ডপের সামনে প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য চলে। ক্লাব সদস্যদের পাশাপাশি বহিরাগতদেরও নাচে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে দু’পক্ষের অশান্তি বাধলেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে প্রতিমা বিসর্জন। এদিন পারিবারিক এবং সর্বজনীন মিলিয়ে ৩৫টি প্রতিমা বিসর্জন হয়। বেশ কয়েকটি ক্লাবের বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ঢাকির দলকেও দেখা গিয়েছে। শোভাযাত্রা দেখার জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দর্শকেরা ভিড় করলেও তা হালকা ছিল। প্রতিমা বিসর্জনের পর পুরসভার তরফে দ্রুত কাঠামো সরিয়ে ফেলা হয়।

পুরসভা ও প্রশাসন সূত্রে খবর, বিসর্জন শোভাযাত্রায় ক্লাবগুলিকে লরি নেওয়ার পাশাপাশি সীমিত সংখ্যক ক্লাব সদস্যকে নিতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে মাইক এবং সব ধরনের সাউন্ড বক্স ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছিল। তবে বিসর্জন শোভাযাত্রায় ঢাকি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাতে সম্মতি দেয় প্রশাসন। বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হয়। কিন্তু তাঁর মোবাইল পরিষেবার সীমার বাইরে থাকায় প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

কাঁথি পুরসভার ট্রাফিক বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও ক্লাব ফোরামের অন্যতম কর্তা অতনু গিরি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি পুজো কমিটি রিকশায় প্রতিমা নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দিয়েছে। প্রশাসনিক সম্মতি নিয়েই ক্লাবগুলি বিসর্জনের ঢাকি ব্যবহার করেছে। বুধবারের মধ্যেই বিসর্জন শেষ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Immersion Durga Puja 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy