সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর একটি অংশ।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চেয়ারে বসে টাকা নিচ্ছেন। পিছনে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড। সামনে নেমপ্লেট। বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ওই ছবি সমাজমাধ্যমে (আনন্দবাজার ছবির সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে শাসক দলের অন্দরে। ওই ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ায় ওই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বসে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে। চেয়ারের অন্যদিকে এক ব্যক্তি হীরালালকে টাকা দিচ্ছেন। হীরালাল সেই টাকা হাতে নিয়ে ড্রয়ারে ঢোকাচ্ছেন। তবে ওই ব্যাক্তি কে, তা পরিষ্কার নয়। সমাজমাধ্যমে ওই ছবি আপলোড হতেই শোরগোল পড়ে যায় চন্দ্রকোনা জুড়ে। ছবিটি অবশ্য কবেকার তা জানা যায়নি। রাতেই সমাজমাধ্যমে সরব হন হীরালাল। থানায় চক্রান্তের অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াই নতুন নয়। এখন অবশ্য দলের সামগ্রিক রাশ বিধায়ক অরূপ ধাড়ার দখলে। অন্যদিকে চন্দ্রকোনা -২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল বিধায়ক গোষ্ঠীর বিরোধী বলে পরিচিত। দলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক সভাপতি প্রসূন ঘোষ ও শহর সভাপতি দু’জনই অরূপের অনুগামী। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌগত দণ্ডপাট এখন অরূপের দিকেই। এই পরিস্থিতিতে সমাজমাধ্যমে ওই ছবি ভাইরাল হতেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন হীরালাল। দলীয় কর্মীদের একাংশ সমাজমাধ্যমে হীরালালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। সমাজমাধ্যমেই পাল্টা জবাব দেন হীরালাল।
চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে এখনই কিছু মন্তব্য করছি না।” প্রসূনের কথায়, “দলের কোনও বিষয় নয়। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ অপরাধ করলে, সেই দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। জেলা নেতৃত্বের নজরে আনা হয়েছে।” হীরালালের প্রতিক্রিয়া, “ভূয়ো ছবি কারিকুরি করে আপলোড করা হয়েছে। দলেরই একাংশ বিরোধীদের সুবিধে করে দিতে চক্রান্ত করে ওই ছবি সামনে এনেছে। থানায় অভিযোগ করেছি। আদালতেও মামলা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy