ছবি: সংগৃহীত।
মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: আজ, রবিবার প্রাথমিকের টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষা রয়েছে। রাজ্যজুড়ে একই দিনে অফলাইনে টেটের আয়োজন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হওয়ার জন্য একাধিক নিয়মাবলী জারি করেছে পর্ষদ। ইতিমধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে সেই নিয়মাবলী পাঠানো হয়েছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সারা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তরুণ সরকার বলেন, ‘‘যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়েছে।’’ থাকবেন। ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শুভাশিস মিত্রের কথায়, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কেভিড বিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন। দুপুর ১টায় পরীক্ষা শুরু। চলবে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১৫,১০০ জন পরীক্ষার্থী টেট দিতে চলেছেন। পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৩৭টি। জেলায় তিনটি মহকুমা। ঘাটাল মহকুমায় রয়েছে ৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র, খড়্গপুরে ১২টি এবং মেদিনীপুরে ১৬টি। মেদিনীপুর (সদর) মহকুমার ১২টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে মেদিনীপুর শহরেই রয়েছে ৯টি কেন্দ্র। শহরের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির একটি কলেজিয়েট স্কুল (গার্লস)। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নন্দী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে স্কুল চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার প্রভৃতিও স্কুলে থাকছে।’’ দিন কয়েক আগে জেলাস্তরে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ।
ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রাথমিক টেট-এর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,৩৭১ জন। জেলার ১৭টি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে। শহরের ৮টি এবং ঝাড়গ্রাম ও জামবনি ব্লকের ৯টি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। শহরের স্কুল গুলি হল ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন, অশোক বিদ্যাপীঠ, বাণীতীর্থ, নেতাজি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, রানি বিনোদমঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়, শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়, ননীবালা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ননীবালা বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিকপাড়া বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিকাশভারতী শিক্ষায়তন, বাঁধগোড়া অঞ্চল বিদ্যালয়, সেবায়তন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালগড় ব্লকের বিনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দহিজুড়ি মহাত্মা বিদ্যাপীঠ, জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ও পড়িহাটি প্রগতি সঙ্ঘ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্রের কমীরা ১৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রই জীবাণুমুক্ত করেছেন।
টেট নিয়ে আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে সেই বিষয়ে বিশদে জানানো হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে গড়ে ৪০০-৫০০ জন পরীক্ষার্থী থাকছেন। জেলার ছাত্রছাত্রীদের যাতে অন্য জেলায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পরীক্ষার হলে ইনভিজিলেটরের দায়িত্বে থাকছেন। প্রতিটি হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে এক থেকে দু’জন করে ইনভিজিলেটর থাকবেন।
বিধানসভা ভোটের আগে প্রাথমিকের টেট নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক প্রশাসন। রবিবার পরিবহণ ব্যবস্থা যাতে সচল থাকে সেই বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। পরীক্ষার্থীরা যাতে সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন সেই বিষয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
তবে চিন্তাও রয়েছে। সারনা ধর্ম কোড লাঘু সহ পাঁচ দফা দাবিতে সারা ভারতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ( রেল-রোড চাক্কা জ্যাম) ডাক দিয়েছে একটি আদিবাসী সংগঠন। ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’ নামে ওই সংগঠনের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সঞ্জয় হেমব্রম অবশ্য জানিয়েছেন, টেট পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা করা হবে না। পরীক্ষা শেষে দুর্ভোগের আশঙ্কা অবশ্য থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy