ফাইল চিত্র।
শাসকদল তৃণমূলের এক কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন। রেলশহরে প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা। অথচ ঘটনার তিনদিন কেটে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এমন আবহে শহরের পুলিশি ব্যবস্থাকে দুষছে রাজনৈতিক মহল। ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারাও। এ বার শহরে এসে আরও একধাপ এগিয়ে পুলিশের সঙ্গে সরকারকে দুষলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ!
বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুরের বোগদায় চা-চর্চায় যোগ দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। সেখানেই খড়্গপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। কারণ, গত সোমবার রাতে এই রেলশহরের ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকার মাতা মন্দিরের সামনে শ্যুটআউটে মৃত্যু হয় এক তৃণমূলকর্মীর। কে ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদ নামে বছর বিয়াল্লিশের ওই তৃণমূলকর্মীকে প্রায় ৭টি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। গত কয়েকমাস ধরে খড়্গপুর শহরে চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠছিল। জেলায় এসে খড়্গপুর টাউন আইসিকে দাঁড় করিয়ে রেলশহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তার পরেও এই ভয়াবহ খুনের ঘটনার পিছনে কারা যুক্ত তা বলতে পারছে না পুলিশ। এ দিন পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানাতে পারেনি। এমনকি খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা-ও স্পষ্ট হয়নি। এসব নিয়েই চর্চা চলছে শহরে। এ দিন চা-চর্চায় বসে সাংবাদিকদের সামনে দিলীপ বলেন, “গ্রেফতার হবেও না। প্রতি ছ’মাসে একবার করে শ্যুটআউট হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার, প্রশাসন, পুলিশ সকলে যুক্ত রয়েছে।” যদিও এ দিন খুনের মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “তদন্ত চলছে। যখনই কিছু হবে আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের জানাব।”
রেলশহরে এই খুনের সঙ্গে ২০১৭সালে খুন হওয়া রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনের ছায়া দেখছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও এভাবে এক তৃণমূলকর্মী খুনে বিরোধীদের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল নেতৃত্বও। এ দিন দিলীপও পুলিশকে একহাত নিয়ে বলেন, “একইভাবে শ্রীনু হত্যা হয়েছিল। একটা লোককে মেরে দিচ্ছে যে প্রশাসনের সঙ্গেই ছিল। স্কুটারে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে চলে যাচ্ছে। পুলিশ কী করছে? পুলিশ অফিসাররা সকলে কি এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন?” তবে এমন ঘটনার পিছনে তৃণমূলকেও বিঁধতে ভোলেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। দিলীপ বলেন, “সোনা, টাকা ছিনতাই হচ্ছে। গুলি চলছে। খড়্গপুরকে অশান্ত করে তাঁরা(তৃণমূল) এখানে রাজত্ব করতে চাইছে। পুলিশ অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। কেবল তাঁবেদারি করছে। টাকা তুলছে। সিন্ডিকেট চালাতে সাহায্য করছে। এটা চলতেই থাকবে।” অবশ্য এসব প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের একজন কর্মী খুন হয়েছে। তার পরেও আমরা রাজনীতি না করে বলেছি এটা রাজনৈতিক খুন নয়। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছি। দিলীপ ঘোষ সবকিছুতে রাজনীতি খোঁজেন। উনি বরং শহরে রেলের কাজ ও উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু ভাবুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy