উদ্বোধনের ফলকে নাম থাকলেও এলেন না খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: কিংশুক আইচ
রেলশহরের উন্নয়নে রেল-রাজ্য সংঘাত বরাবরের। রেলের এলাকায় উন্নয়ণমূলক কাজে বাধা আসে বলে বারবার দাবি করে পুরসভা। তবে এ বার রেলবস্তির উন্নয়নে পুরসভাকে কাজের অনুমতির অনুরোধ জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ!
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হল খড়্গপুরের বহু প্রতীক্ষিত গিরিময়দান উড়ালপুল। উদ্বোধন করেন সাংসদ দিলীপ। ইতিমধ্যেই ওই উড়ালপুল প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক ‘চাচা’ জ্ঞানসিংহ সোহন পালের নামাঙ্কিত করার আর্জি রেলকে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন মঞ্চ থেকেও সে কথা ঘোষণা করেন তিনি। মঞ্চে ডিআরএমের উপস্থিতিতে রেল এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের নানা দাবিও জানান মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। এমনকি এ দিন উড়ালপুলের উদ্বোধন হলেও বেশ কিছু পরিকাঠামো ও সৌন্দর্যায়নের অভাব থেকে গিয়েছে। উড়ালপুলে নেই পথবাতি, জগন্নাথ মন্দিরের কাছে নিমপুরা রোডের সংযোগস্থলে গড়া হয়নি ট্রাফিক চক। এ দিন এসবের পরিকাঠামো গড়ারও অনুরোধ করেন দিলীপ। পরে ডিআরএম মহম্মদ সুজাত হাসমি বলেন, “সৌন্দর্যায়ন, আলো ও ট্রাফিক চকের বিষয়েও আমরা দেখব।” তবে ওই উড়ালপুল হওয়ায় রেল এ বার গিরিময়দান স্টেশন সংলগ্ন অরোরা ও খরিদা রেলগেট বন্ধ করতে চলেছে বলে জানিয়েছে। এ দিনই অরোরা গেট বন্ধও করে দেয় রেল। তবে এ ভাবে রেল গেট বন্ধ করায় সমস্যা হবে বলে দাবি শহরবাসীর। সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, “উড়ালপুলের গড়ার শর্ত অনুযায়ী ওই দুই রেলগেট বন্ধ হবে।”
অবশ্য এ দিন রেলের এলাকার নানা সমস্যার কথা ডিআরএমের উপস্থিতি তুলে ধরেন সাংসদ দিলীপ। রেলশহরে সবচেয়ে বড় সমস্যা রেলের এলাকার উন্নয়নে পুরসভার কাজে রেলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এই নিয়ে রেল-রাজ্য সংঘাত দীর্ঘদিনের। এ বার অবশ্য রাজ্যের পাশেই দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, “রেলের অনেক জবরদখল রয়েছে। সেখানে হাজার-হাজার লোক বাড়ি করে ২০-৩০ বছর ধরে থাকে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই, রাস্তা নেই। আমি গিয়েছিলাম আয়মায়, রামনগরে সমস্যা আছে। সেই মানুষগুলিও এখানকার ভোটার। ডিআরএমের কাছে অনুরোধ করব সম্ভব হলে ওখানে রেল থেকে বিদ্যুতের বন্দোবস্ত করুন। না হলে অনেক জায়গায় পুরসভা দিয়েছে। তাদের অনুমতি দিলে তাঁরা জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করলে খড়্গপুরবাসী প্রাথমিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না।” ডিআরএম মহম্মদ সুজাত হাসমিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী যেটা করার করব। যেখানে জবরদখল রয়েছে সেখানে কিছু বিধি রয়েছে। সেটা দেখে কিছু করা যায় কি না দেখব।”
এ দিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপির তারকা বিধায়ক তথা কাউন্সিলর হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তবে হিরণ এ দিন উপস্থিত ছিলেন না। মঞ্চে হিরণের আসন ছিল ফাঁকা। ইতিমধ্যেই ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় এক নেতার সঙ্গে বিজেপির তারকা বিধায়কের দেখা করা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের অনুষ্ঠানে হিরণের গরহাজির থাকা নিয়েও শোরগোল পড়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বলেন, “অনেকের নাম থাকে আসেন না। কেন সেটা তো বলতে পারব না।” হিরণকে একাধিকবার ফোন করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy