—ফাইল চিত্র
করোনা-কালে জনসংযোগ। তবে সেখানেও গত পঞ্চায়েত ভোটের স্মৃতি উস্কে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার কেশিয়াড়ির খাজরায় গৃহ সম্পর্ক অভিযানে এসে তিনি মনে করালেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গড়তে দেওয়া হয়নি। দু’বছর পেরিয়েছে। এর জেরে ব্লকে উন্নয়ন স্তব্ধ বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘এরা (তৃণমূল) বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেবে না। মানুষ আমাদের জিতিয়েছে। চক্রান্ত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।’’
এ দিন প্রথমে খড়্গপুর থেকে খাজরায় আসেন সাংসদ দিলীপ। আমগেড়িয়াতে কয়েকজনের বাড়িতে যান, কথা বলেন। সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা জেনে নেন। হাতে দেন নরেন্দ্র মোদীর চিঠি। পরে কেশিয়াড়িতে রাষ্ট্রীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একবছর আগে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। কলাবনিতে দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে মিটিংও সেরেছেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ। কেশিয়াড়ির কর্মসূচি সেরে দাঁতন ২ ব্লকের সাউরীতে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে যান দিলীপ। সেখান থেকে যান এগরা।
এ দিন কেশিয়াড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের গৃহ-সম্পর্ক অভিযানে জোর দেওয়ার কথা বলেন দিলীপ। ৩০ জুনের পর প্রত্যেকের কাছ থেকে কাজের হিসেব নেওয়ার কড়া বার্তাও দেন রাজ্য সভাপতি। পরে খাজরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত সমিতি গড়তে না দেওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন তিনি। বিজেপি-র জয়ী প্রার্থীদের থেকে জোর করে শংসাপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দিলীপের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘ভোট হওয়ার পরে জেতা লোককে জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছে। দু’বছরেরও বেশি হয়ে গেল বোর্ড করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেশিয়াড়িকে আটকে রাখা হয়েছে।’’ এর জেরে কেশিয়াড়ির সাধারণ মানুষ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেই তাঁর দাবি।
গত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের ১৩টিতে জেতে বিজেপি। তৃণমূলের দখলে ছিল ১২টি আসন। পরে তৃণমূল ছেড়ে দু’জন বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির ১৫ ও তৃণমূলের আসন দাঁড়ায় ১০। ফের দু’জন তৃণমূলে ফিরেছেন। ফলে ভোটের পরে যা ফল ছিল বর্তমানে তাই রয়েছে।
খড়্গপুরের মতো এ দিন কেশিয়াড়িতেও করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের লোকেদের আগে বোঝান, সামলান। নইলে এর থেকে আরও ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে।’’ দিলীপের মতে, ‘‘আমরা সভা সমিতি করছি না। আমি নিজে এসে লোকের বাড়ি যাচ্ছি দেখা করতে। এটা বাকিদের শেখা উচিত।’’ এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি পাল্টা বলেন, ‘‘মিথ্যা ছাড়া সত্যি বলেন না উনি এমন একজন ভদ্রলোক। ওঁর কথায় মানুষ উপহাস করে। ওঁকে অনুকরণ করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ আর পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না হওয়া নিয়ে অজিতের বক্তব্য, ‘‘এটা আদালত ও প্রশাসনের ব্যাপার। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এতে আমাদের কোনও হাত নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy