মঙ্গলবার মেদিনীপুরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে দিলীপ ঘোষের। —ফাইল চিত্র।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে টয়লেট এবং নর্দমার উদ্বোধন করতে চলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর তা নিয়ে সরগরম মেদিনীপুরের রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাল্টা জবাব দিয়েছে মেদিনীপুরের গেরুয়া শিবিরও।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে দিলীপের। রবিবার বিজেপির মেদিনীপুর জেলা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শহরের নয় নম্বর ওয়ার্ড ধর্মা এলাকায় যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের উদ্বোধন করার কথা তাঁর। এর পর বটতলা এলাকায় একটি সাব মার্সিবল পাম্প পরিদর্শন করার কথা তাঁর। বেলা ১১টা নাগাদ শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্লাইওভারের কাছে একটি নর্দমা উদ্বোধনের কর্মসূচি রয়েছে দিলীপের। পাশাপাশি বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁতিগেড়িয়া এলাকায় হাইড্রেনেরও উদ্বোধন করার কথা দিলীপের। শেষ পর্যায়ে শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কামারপাড়া এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টা একটি আইসিডিএস কেন্দ্রের টয়লেটের উদ্বোধন করার কর্মসূচিও রয়েছে সাংসদের। এর পর দুপুর ১টা শহরের সূর্যনগরে দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারার কথা তাঁর। বিকেল ৪টা নাগাদ শহরের মণ্ডল মাঠ এলাকায় আরও একটি নর্দমার উদ্বোধন করবেন তিনি। কর্মসূচির একেবারে শেষ পর্যায়ে তাঁর মন্দির দর্শনের কথাও জানিয়েছে মেদিনীপুর জেলা বিজেপি। সাড়ে ৪টা নাগাদ গাঁধিঘাটে অমরুত প্রকল্প পরিদর্শন করে খড়্গপুর শহরে বাংলোয় চলে যাওয়ার কথা দিলীপের।
শহরের বুকে দিলীপের ওই কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল নেতা সুজয় হাজরা কটাক্ষের সুরে বলছেন, ‘‘ওই দিন যে হেতু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে, তাই দিলীপবাবুও ছিটেফোঁটা প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছেন। প্রচারে ভেসে থাকার চেষ্টার করছেন। উনি নর্দমার উদ্বোধন করতে আসবেন সে তো ভাল কথা।’’ ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভায় জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, শিল্প সংস্থা, পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার কথা। তার প্রস্তুতি চলছে প্রশাসন মহলে।
তৃণমূলের কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি অরূপ দাসের বক্তব্য, ‘‘এক জন সাংসদের কর্মপদ্ধতির গভীরতা কতটা, তা বোঝার এবং জানার অভিজ্ঞতা নেই বলেই এমন মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতারা। ওঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় যে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার উদ্বোধন এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করতে আসা এক জন সাংসদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাই উনি আসছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy