রবিবার দিঘার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ষবরণে কোলাহল সমুদ্রসৈকতে। অথচ দোসরাতেই বদলে গেল দিঘার দৃশ্যপট। সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব পর্যটনকেন্দ্র।
রবিবার নবান্ন এই ঘোষণা করতেই দিশেহারা লক্ষাধিক পর্যটক। পাশাপাশি হতাশ হোটেল এবং পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও।
দিঘায় বর্ষবরণের দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন লক্ষাধিক পর্যটক। তাই দিঘায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ধাপে ধাপে এগোতে চাইছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “রাজ্য সরকার করোনা বিধিনিষেধের যে নির্দেশিকা জারি করেছে তা নিয়ম মেনেই কার্যকর হবে। আগামিকাল থেকেই দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে মাইকে প্রচার শুরু হয়ে যাবে। করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।” জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য বলছে, দিঘার মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রকে একধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া মুশকিল। পাশাপাশি হোটেলগুলি বন্ধের নির্দেশ না থাকায় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করতে কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। আগামিকাল থেকে সমুদ্রে স্নান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সৈকতও গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করলেও দিঘায় থাকা এত পর্যটকের কী হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছি। অনেক পর্যটকই আগামী কয়েক দিনের জন্য হোটেল বুকিং করেছেন। আগামিকাল থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেলে এই পর্যটকদের কী হবে তা স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।’’
বর্ষবরণ এবং সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে দিঘায় এসেছিলেন বহু পর্যটক। সোমবার থেকে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের খবরে তাঁরা হতাশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy