প্রতীকী ছবি।
করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবকের দেহ সৎকারে বাধা। ফলে দেহ বাড়িতেই পড়ে রইল প্রায় ২১ ঘন্টা। এমনই অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের উত্তর জিয়াদা গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন জিয়াদার বাসিন্দা চন্দন সামন্ত (৪২)। বাড়িতেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে চাইলেও বাধা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় চন্দনের। তার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় শ্মশানে চন্দনের দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা উঠতেই সাহায্য করতে আপত্তি জানান এলাকাবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, চন্দন মারা গিয়েছেন করোনাতেই। তাই কেউই তাঁর দেহ সৎকারে যাবেন না। স্থানীয় শ্মশানে চন্দনের দেহ সৎকার করতেও বাধা দেন তাঁরা। দিনভর মৃতদেহ নিয়ে চলে টানাপড়েন।
খবর পেয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের প্রচেষ্টায় প্রায় ২১ ঘণ্টা পর রাত দেড়টা নাগাদ অন্য একটি শ্মশানে চন্দনের দেহ সৎকার করা হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যদেরও কোভিড পরীক্ষায় উদ্যোগী হয় প্রশাসন। কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার কুন্ডু বলেন, ‘‘পিপিই কিট দিয়ে দেহ ঢাকা হয়। দেহ সৎকার করতে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদেরও পিপিই কিট দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দেহ স্থানীয় শ্মশানে সৎকার করতে বাধা দেন। শ্মশানে বহু লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভও দেখান। বেগতিক দেখে প্রশাসনের সাহায্যে দেহটিকে কোলাঘাটের অন্য একটি শ্মশানে সৎকার করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy