Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

কোন্দল, ‘দিদিকে বলো’য় বিভাজন

স্থানীয় এবং দলীয় সূত্রের খবর,  কোলাঘাট ব্লকটি পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভার অধীন। ওই এলাকার বিধায়ক সিপিএমের ইব্রাহিম আলি। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ইব্রাহিমের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতার বিপ্লব রায়চৌধুরী।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোলাঘাট শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৯
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একটি অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে। দলের কোন্দল মিটিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। কোলাঘাটে সেই কর্মসূচিতেও গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলেরই স্থানীয় নেতৃত্ব। দাবি, এর ফলে নিবিড় ভাবে জনসংযোগ করা যাচ্ছে না এলাকাবাসীর সঙ্গে।

স্থানীয় এবং দলীয় সূত্রের খবর, কোলাঘাট ব্লকটি পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভার অধীন। ওই এলাকার বিধায়ক সিপিএমের ইব্রাহিম আলি। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ইব্রাহিমের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতার বিপ্লব রায়চৌধুরী। বিপ্লবের হারের জন্য গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই দায়ী করে দলের একাংশ। বিপ্লব কোলাঘাটের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মদনমোহন মিশ্রের অনুগামী বলে পরিচিত। আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে মদন-বিপ্লবের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরাই।

চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগেও দুই গোষ্ঠীর বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে ভোট প্রচারেও এক মঞ্চের তলায় এঁদের কাউকে এক সঙ্গে দেখা যায়নি। দলীয় সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কলকাতায় তৃণমূল ভবনে মদনমোহন মিশ্র, বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে কোলাঘাট ব্লকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি রূপায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে কোলাঘাটের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছ’টি গ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয় এই তিন নেতাকে।

দলের নির্দেশ মতো ওই তিন নেতা এলাকায় জন সংযোগের কাজ শুরু করলেও এক ছাদের তলায় তাঁদের এখনও দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। দলের একাংশের অভিযোগ, কোলাঘাট ব্লকে অসিতের গোষ্ঠীর ‘জোর’ বেশি। তার জেরে মদনের কর্মসূচিগুলিতে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি খুবই কম হয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে কোলাঘাট ব্লকের তৃণমূলের এক নিচুতলার কর্মী বলেন, ‘‘যে ভুলের জন্য ব্লকে দলের ফল খারাপ, সেই ভুল না শুধরেই চলছে কর্মসূচি। এতে ফল আরও খারাপই হবে।’’

পরিস্থিতির সত্যতা স্বীকার করে আক্ষেপের সুরে মদন বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিবিড় জন সংযোগ গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য আমাদের। তবে হ্যাঁ, আমার আয়োজনের কোনও কর্মসূচিতে অসিতেরা থাকেন না। উনি ওঁর কর্মসূচিতেও আমাকে ডাকেন না। এই মতভেদ দূর করে চলতে পারলে দলের ফল আরও ভাল হত।’’ যদিও অসিতের দাবি, ‘‘দল আমাকে যে সমস্ত গ্রামে দায়িত্ব দিয়েছে, সে সব জায়গায় ব্লকের ত্রি-স্তরীয় সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন। মদনকে যে সব জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উনি সেখানে
কাজ করছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kolaghat TMC Didik Bolo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE