Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Dev

পাশে দেব, দৃষ্টি ফিরল ছাত্রের

সমাজমাধ্যমে দেবের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান সাবিরের পড়শি সাহেব মল্লিক। এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঘাটালের সাংসদ দেব। সাবিরকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে এক বড় প্রতিষ্ঠানে চোখের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি ডান চোখে অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সাবির।

এখন দেখতে পায় সাবির।

এখন দেখতে পায় সাবির।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

অর্থাভাবে থমকে গিয়েছিল চোখের চিকিৎসা। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিল চন্দ্রকোনার কাসন্দ গ্রামের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সাবির খান। চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য ঘাটালের সাংসদ দেবকে ‘ট্যাগ’ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন সাবিরের এক পড়শি। তা দেখেই তৎপর হন অভিনেতা-সাংসদ। তাঁর আর্থিক সহযোগিতায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে ওই ছাত্র। সাংসদের ভূমিকায় খুশি চন্দ্রকোনার কাসন্দ গ্রাম!

লকডাউনে কখনও পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ, কখনও ঘাটাল হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়দের খাবার বিলি— নানা কাজেই দেখা গিয়েছে দেবকে। মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক সংস্কারের আবেদন করেন তিনি। নিজের সাংসদ এলাকার বাইরে চন্দ্রকোনা পুর-শহরে বৃদ্ধার বাড়িও তৈরি করে দিয়েছেন সম্প্রতি। এ বার হাত বাড়ালেন দৃষ্টিহীন ছাত্রের দিকে।

কাসন্দ মাদ্রাসা হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির সাবিরের দু’-তিন বছর ধরেই ডান চোখে সমস্যা দেখা দেয়। চোখের শিরায় সমস্যার কারণে চোখ দিয়ে শুধু জল পড়ত। কমে এসেছিল দৃষ্টিশক্তিও। এক সময় ডান চোখের দৃষ্টি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে সাবির। মাস সাতেক আগে পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছয়। সাবিরের বাবা আজিয়ার খান এলাকায় লোহাভাঙা, টিনভাঙা বিক্রি করে কোনও ভাবে সংসার চালান। করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে তাঁর রুজি-রুটি বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ছেলের চোখের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমসিম খেতে হয় আজিয়ার খানকে। ঘটনার কথা শুনেই সমাজমাধ্যমে দেবের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান সাবিরের পড়শি সাহেব মল্লিক। এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঘাটালের সাংসদ দেব। সাবিরকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে এক বড় প্রতিষ্ঠানে চোখের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি ডান চোখে অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সাবির।

ঘাটালের সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, “সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসার পরই সাংসদ উদ্যোগী হন। সাবিরের চোখের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন তিনি।” আর সাবিরের কথায়, “দেব কাকু না থাকলে হয়তো আর দেখতে পেতাম না। পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ। ঘাটালে এলে ওঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা রয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Dev Student Ghatl Charity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy