প্রতীকী ছবি।
লকডাউন পর্বে পাঁশকুড়া ফুলবাজারে চুরির ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বন্ধ পাঁশকুড়া ফুলবাজার ও ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘর।লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় সমস্ত ফুলবাজারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় পাঁশকুড়া ফুলবাজার চালুর দাবি জানিয়েছেন এলাকার ফুলচাষিরা।
২০০৪ সালে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে তৈরি পাঁশকুড়া ফুল বাজারের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী শৈলেন সরকার। বাজার চত্বরেই পাঁচ টন ফুল সংরক্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি হিমঘরও গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফুলের বেচাকেনা হত পাঁশকুড়া ফুলবাজারে। বিভিন্ন পুজো ও উৎসবের আগে বাজার চত্বরে থাকা হিমঘরে নামমাত্র খরচে ফুল সংরক্ষণ করতে পারতেন ফুলচাষিরা। করোনা অতিমারিতে লকডাউন চলাকালীন একবার পাঁশকুড়া ফুলবাজারের হিমঘরের এসি মেশিনের যন্ত্রাংশ চুরি হয়। কিছুদিন পর ফুলবাজারের বিদ্যুতের মিটারও দুষ্কৃতীরা নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। বিদ্যুৎ না থাকায় সেই থেকে বন্ধ পাঁশকুড়া ফুলবাজার ও হিমঘর। ফলে দুর্গাপুজোর আগে হিমঘরে ফুল মজুত করতে পারেননি ফুলচাষিরা। আলোর অভাবে বসতে পারেনি রাতের বাজার।
এতদিন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় ফুলবাজার চালু নিয়ে জোরাল দাবি ওঠেনি। কিন্তু বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ক্রমশ চাঙ্গা হতে শুরু করেছে অন্যান্য ফুলবাজার। কিন্তু পাঁশকুড়ার ফুলবাজার এখনও বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ফুলচাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় ফুলের বাজার ক্রমশ চাঙ্গা হচ্ছে। কিন্তু পাঁশকুড়া ফুলবাজার বন্ধ থাকায় ফুলচাষিরা তাঁদের ফুল বিক্রি করতে পারছেন না। আমরা উদ্যানপালন দফতরে আবেদন জানিয়েছি দ্রুত পাঁশকুড়া ফুলবাজার চালু করার জন্য।’’
জেলা উদ্যান পালন দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বপন শিট বলেন, ‘‘আমরা বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি দিয়েছি পাঁশকুড়া ফুলবাজারে নতুন মিটার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য। কাজ হয়ে গেলেই ফুলবাজারচালু হবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy