—প্রতীকী চিত্র।
রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দেখালেন মৃতের আত্মীয় পরিজন। উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার রাতে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম পূর্ণিমা খাটুয়া (৪৮)। বাড়ি এগরা-১ ব্লকের জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের চিরুলিয়া গ্রামে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে মাটির বাড়ির দেওয়াল হুড়মুড়় করে ভেঙে পড়লে তার নীচে চাপা পড়েন পূর্ণিমা। পরিবারের লোকেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পূর্ণিমার হাত এবং পা ভেঙে যাওয়ায় রক্তক্ষরণ হতে তাকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। ভাঙা হাত এবং পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ভর্তি হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে পূর্ণিমা মারা যান।
এরপরেই রোগীর পরিবার অভিযোগ করে, ভর্তি করার পরেও চিকিৎসক গুরুত্ব দিয়ে পূর্ণিমার চিকিৎসা না করে কর্তব্যরত নার্সের উপর দায়িত্ব দিয়ে যান। রোগীকে সঠিক সময়ে অক্সিজেন এবং প্রয়োজন মতো রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা হলে তাঁর মৃত্যু হত না। পূর্ণিমার মৃত্যুর পর তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা দফায় দফায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পূর্ণিমার ছেলে চন্দন খাটুয়ার অভিযোগ, ‘‘ডাক্তার ঠিকমতো মায়ের চিকিৎসা করেননি। সঠিক সময়ে অক্সিজেন এবং রক্ত দেওয়া হলে মায়ের মৃত্যু হত না।’’ অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবিলম্বে শাস্তি দাবি করেন তিনি। বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালে জরুরি রোগী পরিষেবা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মৃতের পরিবারের তরফে কোথাও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সুপার গোপাল গুপ্ত কোনও মনন্তব্য করতে চাননি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকে নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy