দিঘার সমুদ্র সৈকতে সতর্কবার্তা প্রশাসনের। —নিজস্ব চিত্র।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। তার জেরে রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। তা নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। জেলা জুড়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে তৎপরতা। দিঘা, মন্দারমণি-সহ জেলার উপকূলবর্তী এলাকা তো বটেই, অন্যত্রও চলছে মাইকে প্রচার। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে সব মৎস্যজীবী ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত তীরে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেঘের আনাগোনা। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে উপকূল এলাকাগুলিতেও। রামনগর এক নম্বর ব্লকের সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর পেয়েই দ্রুত প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী যে সব এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা, সেখানে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শম্পার বক্তব্য, ‘‘গোটা এলাকাতেই মাইকিং করা শুরু হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় আয়লা কেন্দ্র এবং স্কুলগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে শঙ্করপুর, গঙ্গাধরপুর, দত্তপুর এলাকাগুলি বেশি বিপজ্জনক হওয়ায় এই জায়গাগুলিতে আয়লা কেন্দ্র, স্কুল এবং পাকা বাড়িগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত শুকনো খাওয়ারও মজুত করা হয়েছে।’’ শম্পা আরও বলেন, ‘‘সমুদ্রবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলিতে বেশি পরিমাণে ব্ল্যাকস্টোন ফেলা হয়েছে।’’ দিঘা, রামনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি, পদিমা এক এবং দুই, তালগাছাড়ি দুই নম্বর পঞ্চায়েতেও কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায়, আশঙ্কায় রয়েছেন পটাশপুর, ভগবানপুর, এগরা, চণ্ডীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। এই এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে কেলেঘাইয়ের জলে মগ্ন। এর উপর ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘কেলেঘাই নদীর যে অংশে বাঁধ ভেঙেছে তা দ্রুত মেরামতি হচ্ছে। বানভাসি এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোরও ব্যবস্থা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy