তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুক্রবার দিঘায়।
গতিপথ বদলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। কিন্তু ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন দফতরকে পুরোদমে তৈরি থাকতে বলেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল থেকে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর এবং তাজপুর-সহ উপকূলবর্তী এলাকার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দিনভর হালকা বাতাস আর টিপটিপ বৃষ্টি পড়েছে। সাগর অতটা অশান্ত না হলেও এ দিন সৈকতের ধারে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি পর্যটকদের। দিঘা এবং মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকত এবং দিঘা মোহনা এলাকায় মাইকে করে পর্যটক এবং মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দিঘার স্নানঘাটগুলিতে বড় দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে পর্যটকেরা কোনও ভাবে সমুদ্রে স্নান করতে নামতে না পারেন।
উপকূলবর্তী এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও কলকাতা পুলিশের ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ রাখা হয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য জেলায় মোট ছ’টি স্পীডবোট রাখা হচ্ছে । এর মধ্যে রামনগর-১ ও ২ ব্লকে দু’টি করে এবং হলদিয়া মহকুমায় দু’টি স্পীডবোট থাকছে। শুক্রবার কলকাতা থেকে তিনটি স্পীডবোট আনা হয়েছে। উপকুলবর্তী এলাকার সমস্ত ত্রাণ শিবিরগুলিকে দুর্গতদের উদ্ধার করে রাখার জন্য জল ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ২৫০ জন ‘আপদ মিত্র’কে ব্লকগুলিতে রাখা হচ্ছে। জেলার ২৫টি ব্লকে প্রতিটিতে ১০ জন করে আপদ মিত্র থাকছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়েই দিঘা থেকে পর্যটকদের একাংশ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সপ্তাহান্তেও নতুন করে আর তেমন পর্যটকের ভিড় দেখা যায়নি এ দিন। সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এ দিন সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক হয় রামনগর-১ বিডিও অফিসে। সেখানে পুলিশ প্রশাসন, পঞ্চায়েতের পদাধিকারী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকেরা ছিলেন। প্রতিটি দফতরের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়। জেলা শাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, বুলবুল স্থলভাগের ঢোকার আগেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি কতটা, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপকূল থেকে বেশ কিছু দূরে হলেও এগরাতেও ‘বুলবুলে’র বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। দুর্গা পুজোর আগে এগরা শহরের বেআইনি ভাবে লাগানো হয়েছিল একাধিক তোরণ। পুজোর এতদিন পরেও সেগুলি খোলা হয়নি যেমন, তেমনই কালী পুজোতেও নতুন তোরণ লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঝড়ের সতর্কবার্তায় এ বার নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা থেকে ওই সব তোরণ দ্রুত খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড বা হসপিটাল রোড, কলেজ মোড় থেকে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে রাজ্য সড়কে বাঁশের তৈরি ওই তোরণগুলি রয়েছে। ঝড়ে সেগুলি ভেঙে যাতে বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য এগরা পুলিশের ওই পদক্ষেপ। এ বিষয়ে এগরা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা এড়াতে তোরণগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy