Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Cyclone Amphan

দু’দিন পরেও বিদ্যুৎহীন 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীরা গাছ ও ডালপালা সরিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

ঝড়ে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি। ঘাটালের নবগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

ঝড়ে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি। ঘাটালের নবগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ০৩:৩১
Share: Save:

ঘূর্ণিঝড়ের পরে কেটে গিয়েছে দু’দিন। তবে এখনও বিদ্যুৎহীন ঘাটাল মহকুমার বহু গ্রাম।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু স্বাভাবিক করতে দিন চারেক সময় লাগবে। আমপান ঘূর্ণিঝড়ে ঘাটাল মহকুমায় প্রায় ৩৩০টি খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। গাছের ডাল পড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতবাহী তার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ঘাটাল, দাসপুর ও সোনাখালি ব্লকে। কম-বেশি ঘাটাল পুর এলাকায়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীরা গাছ ও ডালপালা সরিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা শুরু হয়েছে। ঘাটাল বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার গোলক মণ্ডল বলেন, “দিনরাত এক করে কাজ হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন খুঁটি বসাতে হচ্ছে। তিন-চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’ দফতরের অন্য এক আধিকারিকের দাবি, মহকুমার পাঁচটি পুর এলাকায় ৯০ ভাগ ও গ্রামীণ এলাকার ৮০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। বাকি এলাকাগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

মেদিনীপুরের কিছু রাস্তা গাছ উপড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে অবরুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সে সব রাস্তা থেকে সরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা মোটের উপরে স্বাভাবিক হয়েছে। খড়্গপুর শহরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। তবে রেলের এলাকায় পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যায়।

আমপানের দুর্যোগে বুধবার ঝাড়গ্রাম শহর ও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাও বিদ্যুৎহীন হয়ে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোগের ফলে ও গাছ ভেঙে পড়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১৪৭ টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২২ কিমি দীর্ঘ বিদ্যুৎবাহী তার ও ৪ কিমি দীর্ঘ কেবল ছিঁড়ে গিয়েছে। ৫০টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছে। তবে বুধবার রাতেই ঝাড়গ্রাম শহরের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার মোটের উপরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। জেলার এক বিদ্যুৎ আধিকারিক জানান, জেলার ৯৫ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সবরবাহ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। বাকি এলাকায় সংযোগ চালু করার জন্য কাজ চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Amphan Electricity Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy