পুলিশের হাতে আটক শেখ জাফর।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার শীতলপুরে। সিপিএমের দাবি, বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি শুরু হওয়ার মুখেই তাদের প্রধান প্রার্থীকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে পুরনো মামলায় আটক করে পুলিশ। এর পর সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের অশান্তি বেধে যায়। ভাঙচুর চালানো হয়ে পুলিশের গাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয় আরও বাহিনী। ওই ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
নন্দকুমারের শীতলপুর পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে ১১টি জিতেছে তৃণমূল। এ ছাড়া সিপিএম ৫টি, নির্দল ২টি এবং বিজেপি জয়ী হয় ৫টি আসনে। বোর্ড গঠন করতে সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলায় বিজেপি এবং নির্দলের জয়ী সদস্যেরা। সেই মতো শুক্রবার সিপিএমের প্রধান প্রার্থী শেখ জাফর-সহ অন্যান্য জয়ী সদস্যেরা পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন। কিন্তু ভোটাভুটি শুরু হওয়ার ঠিক আগে নন্দকুমার থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে শেখ জাফরকে আটক করে থানায় নিয়ে চলে যায়। এর পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই পুরনো মামলার দোহাই দিয়ে জাফরকে আটক করেছে পুলিশ। এর পর সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে
স্থানীয় সিপিএম কর্মী কালীশঙ্কর মাইতির প্রশ্ন, ‘‘সিপিএমের প্রধান প্রার্থীকে যদি গ্রেফতার করার থাকত তা হলে আগে কেন করা হল না? তিনি ভোটে লড়লেন, সর্বসমক্ষে ঘুরে বেড়ালেন। অথচ আজ ভোটাভুটির আগেই তাঁকে তুলে নিয়ে গেল। এই নিয়েই পুলিশের সঙ্গে বচসা চলছিল। সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা আচমকা পুলিশের সঙ্গে এসে হামলা চালিয়ে আমাদের মারধর করল।’’
সিপিএমের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy