পুরনো পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার দাবি তুললেন কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই। সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে এই দাবি জানিয়েছেন তিনি। রামেশ্বরবাবু জানান, প্রথম পর্যায়ের প্রস্তাবিত কাজে কেশপুর, চন্দ্রকোনা-১ এবং চন্দ্রকোনা-২ ব্লক নেই। অথচ এগুলো উঁচু এলাকা। মাস্টার প্ল্যানের ক্ষেত্রে আগে উঁচু এলাকায় কাজ হওয়ার কথা। পুরনো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে সেটা হবে। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক এই দাবি তিনি সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন।
বন্যা প্রতিরোধে তৈরি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে সম্প্রতি ছাড়পত্র দিয়েছে ‘গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন’ (জিএফসি) এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের টেকনিক্যাল কমিটি। কাজ শুরুর জন্য দরকার শুধু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন। জেলার এই এলাকায় স্থায়ী ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৫৯ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়। অবশ্য দীর্ঘদিন কাজ এগোয়নি। ২০০৬ সাল থেকে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়। ব্যয় ধরা হয় ১,৭৪০ টাকা। গত বছর জিএফসি প্রকল্পের মোট ব্যয়কে দু’ভাগে ভাগ করার নির্দেশ দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় ১,২১৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকার প্রকল্প রিপোর্ট জমা পড়ে। সম্প্রতি এটিরই ছাড়পত্র দিয়েছে জিএফসি। রামেশ্বরবাবু বলেন, ‘‘এ ভাবে দুই পর্যায়ে ভাগ করা হল কেন? কেশপুরে শাসক দলের বিধায়ক নেই বলেই কি এমনটা করা হল! কেশপুরের মানুষই এই প্রশ্ন করছেন!’’
জেলা পরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এত বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে, এটাই খুশির খবর। কেশপুরের বিধায়কের উচিত রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। পরের পর্যায়ে কাজ যে হবে না, তা তো নয়।’’ প্রকল্প রূপায়িত হলে দুই মেদিনীপুরের ১২টি ব্লকের ১৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy