তখন সুব্রতবাবু চিকিৎসাধীন। —নিজস্ব চিত্র।
মৃত্যু হল সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত বন্দোপাধ্যায়ের (৭৩)। সুব্রতবাবুর পরিবার সূত্রে দাবি, রবিবার ভোরে সতাহাটায় নিজের বাড়িতে মিউরেটিক অ্যাসিড খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাঁকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তাঁর ছেলে সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাবা রবিবার ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে জল ভেবে বেসিনের উপরে থাকা মিউরেটিক অ্যাসিড খেয়ে ফেলেন। সোমবার সকালে সুব্রতবাবুকে নার্সিংহোমে দেখতে যান সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান-সহ দলীয় নেতারা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুব্রতবাবু সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। তিনি সিপিএমের হলদিয়া শহর জোনালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সহপাঠী ছিলেন সুব্রতবাবু। এ দিন দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির কাছে সুব্রতবাবুর শরীর সম্পর্কে খোঁজও নেন বুদ্ধদেববাবু। সোমবার তমলুকে সৌম্যবাবু বলেন, ‘‘রবিবার বাড়িতে বাবা, মা ও বোন ছিল। আমি এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম।’’ তাঁর দাবি, গত বছর তমলুকে সিপিএমের জেলা অফিসে লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামীরা দলের রাজ্য নেতাদের ঘেরাও করে হেনস্থা করেছিল। সেই ঘটনা বাবা সমর্থন না করায় গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্মণবাবুরা অন্যায়ভাবে বাবাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য লক্ষ্মবাবুদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর দল বাবাকে ফিরিয়ে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়ায় বাবা তখন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রবিবার পরিষ্কার করার জন্য কাজের মাসি বেসিনের ওপরে অ্যাসিডের বোতল রেখেছিলেন। বাবা জল মনে করে বেসিনের ওপরে থাকা অ্যাসিড খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy