Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

উপনির্বাচন, বাম-কংগ্রেস সমঝোতার সম্ভাবনা

জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলেন, ‘‘জোট নিয়ে রাজ্যস্তরে আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি। খড়্গপুরে আমরা প্রার্থী দেবো। বামেরা আমাদের সমর্থন দেবে।’’ 

নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে খড়্গপুরে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে বামেরা? ফাইল চিত্র

নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে খড়্গপুরে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে বামেরা? ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৮
Share: Save:

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খড়্গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস- বামেদের আসন সমঝোতা হতে চলেছে। প্রার্থী না দিয়ে আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে বামেরা। ইতিমধ্যে রাজ্যস্তরে দু’দলের নেতৃত্বের মধ্যে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জ্ঞান সিংহ সোহন পালকে (চাচা নামে পরিচিত ছিলেন) হারিয়ে খড়্গপুর থেকে জেতেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ বার লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর থেকে জিতেছেন দিলীপ। সাংসদ হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ফলে খড়্গপুরে উপনির্বাচন আসন্ন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলেন, ‘‘জোট নিয়ে রাজ্যস্তরে আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি। খড়্গপুরে আমরা প্রার্থী দেবো। বামেরা আমাদের সমর্থন দেবে।’’

নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে খড়্গপুরে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে বামেরা? জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘উপনির্বাচনের ব্যাপারে আমরা জেলা থেকে কিছু ঠিক করি না। যা আলোচনা হওয়ার রাজ্যস্তরেই হয়।’’ জেলা সিপিএমের অন্য এক নেতার বক্তব্য, বিজেপি এবং তৃণমূলের উপর মানুষ বিরক্ত। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আলোচনা এগোচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা আলোচনা হয়েছে বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন দেবে।

গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট করেই সারা রাজ্যে লড়েছিল বাম- কংগ্রেস। তারপর অবশ্য জোট ভেঙে যায়। গত লোকসভা ভোটে বাম- কংগ্রেস আলাদা লড়াই করেছে। লোকসভা ভোটের পরে এই দু'দলের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রেলশহরের আসন্ন উপনির্বাচনে ফের জোটের সম্ভবনা অনেকটাই এগিয়েছে। খড়্গপুর আসনটি দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে ছিল। এই আসনে টানা ১০ বার জিতেছিলেন জ্ঞান সিংহ সোহনপাল। রেলশহরের মানুষ যাঁকে ‘চাচা’ হিসেবেই চেনেন। সেই আবেগকে পুঁজি করেই এ বারের উপনির্বাচনে একযোগে লড়তে চাইছে কংগ্রেস ও বামেরা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এ বার দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। তিনি রেলশহরের প্রবীণ কাউন্সিলর।পুরসভার উপপুরপ্রধানও ছিলেন।

গত লোকসভা নির্বাচনে খড়্গপুর শহরে বিজেপি ৯৩ হাজার, তৃণমূল ৪৮ হাজার ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস ও বামেরা ভোট পেয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার করে। এতটা ব্যবধান মোছা সম্ভব? জেলার বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করেন, বিধানসভা ভোট হয় স্থানীয় ইস্যুতে। তাই ভাল ভাবে প্রচার করলে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘‘ওই দু’দলকে হারাতে হলে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাই পথ।’’

কংগ্রেস ও বামেদের এই কাছাকাছি আসাকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির খোঁচা, ‘‘নীতি-আদর্শ সব কোথায় যাচ্ছে! মানুষ জবাব দেবেন।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের মন্তব্য, ‘‘এই নিয়ে বিজেপির দুশ্চিন্তা নেই!’’

অন্য বিষয়গুলি:

By Election CPIM Congress Dilip Ghosh BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy