এখানেই হবে করোনা হাসপাতাল।
মার্চে শুরু হয়েছিল ভাবনা। জুনের শেষে বাস্তবায়ন। ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনা হাসপাতাল তৈরির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল চত্বরে নতুন তৈরি হওয়া নাইট শেল্টার চারতলা ভবনটিকে করোনা হাসপাতাল করা হচ্ছে।
গত ১৯ জুন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের নবনির্মিত নাইট শেল্টার ভবনটিকে করোনা মোকাবিলার জন্য করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সেখানে করোনা পজ়িটিভ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৭৫টি শয্যা থাকবে। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ জন। তবে সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সাড়ে ছ’হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১৯ জন বাদে বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ।
তাহলে জেলায় করোনা হাসপাতাল কেন হচ্ছে? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধা। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘জেলায় এখন কেউ করোনা আক্রান্ত নেই। অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার জন্য রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে নাইট শেল্টারে করোনা হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে।’’
প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল মার্চ মাসেই। ওই সময়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নাইট শেল্টারটিকে করোনা হাসপাতাল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালটিকে ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ঠিক করা হয়। সেখানে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে ভেন্টিলেটর ও আনুসঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়। কিন্তু শয্যা-সহ পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য সেন্ট জোসেফ করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হয়নি। ঝাড়গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ওই হাসপাতালটি যুক্তিযুক্ত নয় বলে মত দেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ। এখন সেন্ট জোসেফ থেকে শয্যা ও সরঞ্জাম ঝাড়গ্রামে নিয়ে আসা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে। নাইট শেল্টার ভবনে লিফ্ট না থাকায় এক তলা ও দোতলায় ৭৫টি শয্যা চালু করা হবে।
গত এপ্রিল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে পাঠানো শুরু হয়। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্তদের প্রকৃত তথ্য এবং করোনা পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে অসঙ্গতির অভিযোগ তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy