প্রতীকী ছবি
ভিন্ রাজ্য এবং ভিন্ জেলা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। ইতিমধ্যে অনেকে এসেছেন। আগামী কয়েকদিনে আরও অনেকের ফেরার কথা রয়েছে। বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। জেলায় ফেরাদের নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। নিয়মানুযায়ী, জেলার ফিরলে ১৪ দিন গৃহ নিভৃতবাসে (হোম কোয়রান্টিন) থাকার কথা। অনেকে সে নিয়ম মানছেন না বলেই অভিযোগ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘জেলায় ফেরা লোকেদের এখন যে ভাবেই হোক ঘরের ভিতরে রাখতেই হবে। ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিন বাধ্যতামূলক। কেউ কেউ নির্দেশ মানছেন না বলে শুনেছি। ওঁদের নির্দেশ পালন করতে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ গত কয়েকদিনে জেলায় ফেরা মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। খাতায়কলমে ফেরাদের সকলেই গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ মে পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে গৃহ নিভৃতবাসে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৮৯। ১২ মে পর্যন্ত ওই সংখ্যা হয়েছে ১,৪১৯। অর্থাৎ, এই দেড় সপ্তাহেই ৯৩০ জন ফিরেছেন। এঁদের মধ্যে ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগই ভিন্ জেলা থেকে ফেরা মানুষ।
ট্রেন চলতে শুরু করেছে। এ বার ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনও উপসর্গ না পেলে বাড়িতে ১৪ দিনের গৃহ নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নূন্যতম উপসর্গ থাকলে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। উপসর্গ খানিক বেশি থাকলে হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। তখন সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকেই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা পর্বে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯,৩৩২ জনকে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮,০২৭ জনের ১৪ দিনের ওই সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এঁরা বিপন্মুক্ত। এঁদের নিয়ে আর আশঙ্কার কিছুই নেই। তবে দেখা গিয়েছে, জেলার যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগের সঙ্গেই ভিন্ রাজ্যের যোগ ছিল। কেউ মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন, কেউ দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। অনেকের উদ্বেগ এখানেই। তাঁদের মতে, এই সময়ের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়ায়নি। দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় ফেরার পরে লাফিয়ে বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণও।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, ‘‘বিপুল সংখ্যক লোককে ঘরে আটকে রাখার কাজটা কঠিন। বাধ্য হয়ে সামাজিক চাপ তৈরির চেষ্টা করতে হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে টাস্ক ফোর্স রয়েছে। টাস্ক ফোর্স সবকিছুই নজরে রাখার চেষ্টা করছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বলেন, ‘‘কারও ক্ষেত্রেই ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের উপসর্গ থাকছে, তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy