প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ফের অস্বস্তিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলা-সহ তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।জঙ্গলমহলের এই জেলার করোনা হাসপাতালের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে গোড়া থেকেই সরব চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের পরিজনদেরও অভিযোগ, সেখানে যথাযথ পরিষেবা মিলছে না। সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধি করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে গিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন। তারপরে এখনও হাসপাতালে উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনীয় কর্মী ও টেকনিশিয়ান নেই। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমও নেই। সরকারি হিসেবে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯।
শনিবার সকালে করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাইমণি বেলদার (৪৭) নামে এক মহিলার। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ধলভূমগড়ের সোনাকুঁদ গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়াও এ দিন বিকেলে মারা যান চিকিৎসাধীন সহদেব বেরা (৬৫) ও আকুল শীট (৬৫) নামে দুই বৃদ্ধা। সহদেবের বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানার কানপুর গ্রামে। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। জামবনির চিচিড়া গ্রামের আকুলকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি দরকার। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্মী। এসব না হলে মৃত্যু হার বাড়ার আশঙ্কা তো থাকবেই।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy