প্রতীকী চিত্র।
লকডাউনের মধ্যেই গ্রামের চা দোকানে বসেছিল জটলা। তা সরাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে দাঁতনের কালীচণ্ডী হাট সংলগ্ন ভবানীপুরের আলি মোল্লা বস্তির এই ঘটনায় ধুন্ধুমার বাধে। গ্রামবাসীর ছোড়া ইট ও লাঠির ঘায়ে আহত হন একজন এসআই-সহ তিন পুলিশ কর্মী। তাঁদের প্রথমে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে এসডিপিও (বেলদা) সুমনকান্তি ঘোষ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসেন। চলে ব্যাপক ধরপাকড়। অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে কারকপুর গ্রামে গিয়ে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। রেহাই পায়নি মহিলা ও শিশুরাও। রাতেই চারজনকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে শেখ আসগারকে ছেড়ে দিলেও শেখ সায়জাদ, শেখ ইসমাইল, শেখ হাফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের দাঁতন এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তিনজনের ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়েছে।
শুক্রবার দিনভর থমথমে ছিল গ্রাম। অনেকেই ঘরছাড়া। গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভবানীপুরের বস্তি এলাকায় প্রথমে গন্ডগোল হলেও পরে কারকপুর বস্তিতেও ধরপাকড় চালায় পুলিশ। স্থানীয় জমিরন বিবি, হালিমা বিবি, তোতা বিবির ক্ষোভ, ‘‘পাশের বস্তিতে গন্ডগোল হল। আর আমাদের ঘরে এসে ভাঙচুর ও মারধর করল পুলিশ।’’ পুলিশের দাবি, জটলা ভাঙতে প্রথমে বোঝালেও লোকজন শোনেননি। উল্টে ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছোড়ে কয়েকজন। মাথায় চোট পান এসআই অভিজিত মোহান্তি। আরও দুই পুলিশকর্মী আহত হন। গ্রামবাসী শেখ শুভানুদ্দিন বলেন, ‘‘কয়েকজনের ভুলের জন্যে গ্রামের সবাই এখন সন্ত্রস্ত।’’ এসিডিপিও (বেলদা) সুমনকান্তির বক্তব্য, ‘‘জটলা ভাঙতে গেলেই হঠাৎ করে আক্রমণ করা হয়। প্রথমে কোনও লাঠিচার্জ হয়নি।’’ বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও মানেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy