Advertisement
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Corona

ট্রেন বন্ধে ভোগান্তি শুরু, বাসে উঠতে লম্বা লাইন

লোকাল ট্রেন বন্ধের সুযোগ নিয়ে কোনও কোনও বাস আবার অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ।

 মেচেদায় লাইন দিয়ে বাসে ওঠা।

মেচেদায় লাইন দিয়ে বাসে ওঠা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ০৬:১৮
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ট্রেন বন্ধ হলেও বন্ধ নেই অফিস। সেই অপিসে পৌঁছতেই বৃহস্পতিবার নাজেহাল নিত্য যাত্রীরা। বাসে যেমন বাদুড় ঝোলা ভিড় দেখা গিয়েছে। তেমনই আতান্তরে হকারেরা। রাজ্য সরকারের লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে তাই প্রশ্ন করছেন তাঁরা।

বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই করোনা সংক্রমণ রুখতে একগুছ পদক্ষেপের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্য একটি হল লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা। কিন্তু কাজের জায়গা বন্ধ না রেখে লোকাল ট্রেন বন্ধ করলে তো সমস্যা বাড়বে! লোকাল ট্রেন বন্ধের প্রথম দিনে সেই চিত্রই দেখা গেল সর্বত্র। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় পাঁশকুড়া, মেচেদা, কোলাঘাট স্টেশনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে পাঁশকুড়া হল জংশন স্টেশন। প্রতিদিন দুই মেদিনীপুরের হাজার হাজার মানুষ এই সমস্ত স্টেশনগুলি থেকে লোকাল ট্রেন ধরে বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের গন্তব্যে যান। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে কলকারখানার শ্রমিক, অসংগঠিত শ্রমিকদের একটা বড় অংশ যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ভরসা করেন লোকাল ট্রেনের উপরে।

এদিন ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের একাট বড় অংস বাসের উপরে ভরসা করেন। তাতে বাসগুলিতে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। মেচেদা বাইপাসের কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাস ধরার জন্য লাইন পড়ে যায়। বাসের মধ্যে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেকেই উঠতে পারেননি। পাঁশকুড়া,মেচগ্রাম ইত্যাদি এলাকায় বাস ধরার জন্য বহু মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বাসের মধ্যে নির্দিষ্ট আসন ছাড়াও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন মানুষজন।

লোকাল ট্রেন বন্ধের সুযোগ নিয়ে কোনও কোনও বাস আবার অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাঁশকুড়ার নিত্যযাত্রী কল্যাণ রায় বলেন, ‘‘কলকাতার গার্ডেনরিচে আমার কর্মস্থল। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসে চেপেই অফিস গেলাম। বাসের মধ্য যেভাবে ভিড় হল তাতে অচিরেই করোনার বাড়বাড়ন্ত আবার শুরু হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে সরব পরিবহন যাত্রী কমিটি। সংগঠনের দাবি, লোকাল যদি বন্ধই রাখতে হয়, তাহলে সরকারকে রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস চালাতে হবে। বাসে নির্দিষ্ট আসনের বাইরে যাত্রী তোলা যাবে না, সেটা দেখতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corona COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE