প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেশজুড়ে টিকাকরণে গতি বৃদ্ধির জন্য জোর দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করার ঘোষণাও করা হয়েছে। ৪৫ ঊর্ধ্বদের পাশাপাশি ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার জন্য আজ, ২১ জুন থেকেই রাজ্যগুলিকে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক টিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের আশ্বাসের পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জেলাগুলিতে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছিল।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে টিকা-শিবিরে ৪৫ ঊর্ধ্বদের পাশাপাশি ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভিড় এড়াতে টিকার দিনক্ষণ আগাম জানাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সমীক্ষার পর টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা তৈরি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে যুক্ত করার পরিকল্পনা করে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সেই পোর্টাল এখনও চালু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৪৫ ঊর্ধ্ব এবং ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত বয়সীদের আলাদা তালিকা করে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিচ্ছেন। সেই তালিকা ধরে স্বাস্থ্য দফতর থেকে টিকা প্রাপকদের কুপন দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে ৪৫ ঊর্ধ্বদের পাশাপাশি ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলায় এখনও এর জন্য টিকা আসেনি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘‘১৮ থেকে ৪৪ বছর ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার জন্য আমরা তৈরি। তবে এখনও টিকা আমাদের কাছে আসেনি। আশা করি সোমবার থেকে ওই টিকা পাওয়া যাবে। টিকা এলেই ১৮ ঊর্ধ্বদের তা দেওয়া শুরু করা হবে।’’ নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘দু’দিন আগে আমরা ১৮ হাজার টিকা পেয়েছিলাম। সেই টিকা থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৬ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। প্রাথমিক ভাবে ‘সুপারস্প্রেডার’ হিসেবে চিহ্নিতদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আরও টিকা পাওয়া গেলে ১৮ ঊর্ধ্ব বাকিদেরও টিকা দেওয়া শুরু হবে।’’ তিনি জানান, স্বাস্থ্য জেলায় প্রতিদিন ২০০টি টিকা শিবির করার সুযোগ রয়েছে। তবে এখন টিকার জোগান অনুযায়ী ১২০ থেকে ১৫০টি শিবির হচ্ছে। টিকার সরবরাহ বাড়লে শিবিরের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৫ জুন পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৮৩ জন প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। যা জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৯২ জন। জনসংখ্যার ৭ শতাংশ। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণে গতি এলে জেলায় টিকা প্রাপকদের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy