Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

আক্রান্ত আরও এক, গৃহ পর্যবেক্ষণে সাড়ে ২৪ হাজার

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের এক বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি এলাকার এক গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রথমে দেখিয়ে ছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৫
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত পান ব্যবসায়ীর চিকিৎসা করা গ্রামীণ ডাক্তারের এক পরিজনের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস। ফলে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪।

তবে আশার কথা বিদেশ এবং ভিন্ রাজ্য ফেরত জেলার সাড়ে ২৪ হাজার বাসিন্দার হোম কোয়রান্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তাঁদের কারও শরীরে করোনার উপসর্গ এখনও পাওয়া যায়নি। লকডাউন শেষ না হাওয়া পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের এক বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি এলাকার এক গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রথমে দেখিয়ে ছিলেন। ওই চিকিৎসকও করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তাঁর পরিবারের ৬ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। সোমবার গভীর রাতে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত। বাকি ৫ জন সদস্যের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। সব মিলিয়ে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের পরিজন এবং গ্রামীণ চিকিৎসকের পরিজন মিলিয়ে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

মঙ্গলবার সকালে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ওই মহিলাকে তমলুক জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তমলুকে আরও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘তমলুক, এগরা ও হলদিয়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলার ১৪ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন।’’

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় জানান, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে ৬ জনের নমুনা পাঠানো হচ্ছে করোনা পরীক্ষার জন্য। এঁদের মধ্যে তিন জন হলদিয়ার দিল্লি ফেরত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, লকডাউনের আগে এবং বিদেশ ও ভিন্ রাজ্য থেকে জেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা বাড়িতে ফিরেছেন। সে রকম প্রায় ২৯ হাজার বাসিন্দাকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে রেখেছিল স্বাস্থ্য দফতর। এঁদের মধ্যে সাড়ে ২৪ হাজারের কোয়রান্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার বাসিন্দা ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ করে হয়ে বিপদমুক্ত হয়েছেন। তবে লকডাউনের নিয়ম মেনে প্রত্যেককে বাড়িতেই থাকতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus West Bengal Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy