মেদিনীপুর মেডিক্যালে গোপালকৃষ্ণ ঢালি। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন গোপালকৃষ্ণ ঢালি। তিনি রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য আধিকারিক।
মঙ্গলবার জেলায় এসে শুরুতে তিনি শালবনি কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল, জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী প্রমুখ। মেডিক্যালে বৈঠকও করেন তিনি। সেখানে ছিলেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, মেডিক্যালের চিকিৎসক তথা আইএমএ-র মেদিনীপুর শাখার সম্পাদক কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত প্রমুখ।
এখন হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কম। মঙ্গলবার শালবনির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩০ জন। মেদিনীপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮ জন। এক সময়ে জেলায় করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো এবং পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। তখনও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি জেলায় এসেছিল।
এ দিন পরিদর্শনের ফাঁকে গোপালকৃষ্ণ বলেন, ‘‘আগের থেকে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতি ঘটানোর সুযোগ রয়েছে।’’ জেলায় এখন মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, আগে সেটা ১.৮ ছিল। মৃত্যুর হার আস্তে আস্তে কমছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। যে পরিকাঠামো রয়েছে তাকে কী ভাবে আরও শক্ত করা যায়, পরিষেবা আরও কী ভাবে ভাল দেওয়া যায়, সে সবই খতিয়ে দেখছি।’’
কয়েক দিন আগে মেডিক্যালে এইচডিইউ চালু হয়েছে। গোপালকৃষ্ণ বলেন, ‘‘এতে সুবিধাই হয়েছে। শয্যা সংখ্যা বাড়লে রোগীর পক্ষে ভাল।’’ চিকিৎসকদের তাঁর পরামর্শ, রোগীর সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে হবে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই ওয়ার্ডে ঢুকতে হবে। এ দিন রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy