Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

গণ্ডি ‘নেই’ গণ্ডিবদ্ধে

কেবলমাত্র করোনা আক্রান্ত এলাকা বল্লুক এবং সাবলআড়া গ্রাম সংলগ্ন প্রধান রাস্তাগুলিতে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে ‘গার্ড রেল’ দিয়ে ঘেরা হয়েছে।

রেড জোন! দেখে বলবে কে। জেলার সদর তমলুকে রেশন দোকানে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

রেড জোন! দেখে বলবে কে। জেলার সদর তমলুকে রেশন দোকানে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০২:১০
Share: Save:

করোনার সংক্রমণ রুখতে আক্রান্তদের বাড়ি এবং সংলগ্ন তিন কিলোমিটার এলাকাকে গণ্ডিবন্ধ (কনটেনমেন্ট) জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই পদক্ষেপ আদৌও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১, ২, শান্তিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত (আংশিক), রঘুনাথপুর-১ ও ২, কাখরদা ও খারুই-২ পঞ্চায়েত (আংশিক) এবং তমলুক ব্লকের নীলকুন্ঠ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের (আংশিক) এলাকা গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকা ঘেরা হয়নি বলে অভিযোগ।

কেবলমাত্র করোনা আক্রান্ত এলাকা বল্লুক এবং সাবলআড়া গ্রাম সংলগ্ন প্রধান রাস্তাগুলিতে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে ‘গার্ড রেল’ দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ওই গ্রামে যাতায়াতের রাস্তায় পুলিশের ‘চেকিং’ থাকলেও যাতায়াত করা লোকজনের পরিচয় রাখার ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। আর বাকি এলাকায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

যদিও বল্লুক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎ মেট্যা বলছেন, ‘‘বল্লুক ও সাবলআড়া এলাকায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাড়ি থেকে বেরনোর উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, দুই গ্রামের সংলগ্ন নোনাকুড়ি বাজার এবং রামতারকহাট বাজারে দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন।’’

অন্য দিকে, মেচেদায় আরপিএফ ব্যারাক সংলগ্ন এলাকাকে ‘সিল’ করার জন্য ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যারাক সংলগ্ন তিন কিলোমিটারের গণ্ডিবন্ধ এলাকা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর-১ পঞ্চায়েত, শান্তিপুর-২ পঞ্চায়েত (আংশিক), কোলাঘাট ব্লকের আমলহান্ডা, দেড়িয়াচক, ভোগপুর ও সাগরবসাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে (আংশিক) যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এমনকী, আরপিএফ ব্যারাক সংলগ্ন যে এলাকা ‘সিল’ করার জন্য ঘিরে দেওয়া হয়েছিল, তা-ও শনিবার খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে ওইসব এলাকায় যাতায়াত নিয়ে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ। এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মেচেদা রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা সমরেশ বেরা বলেন, ‘‘শনিবার সকালে যাতায়াতের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে। আরপিএফ কনস্টেবল সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে এখানে আরও কিছু দিন তো সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি নেওয়া প্রয়োজন।’’

পুলিশের তরফে শুক্রবার ওই এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হয় এবং এলাকা জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy