Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

‘সিল’ এলাকায় বিক্ষোভ, জেলায় সুস্থ আরও পাঁচ

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর ওই পাঁচজনকে এ দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই পাঁচজন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০৯
Share: Save:

জেলা ‘অরেঞ্জ জোনে’ আসার আগেই সম্প্রতি হলদিয়ায় চার ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছিল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। মেচেদায় কর্মরত নদিয়ার এক আরপিএফ’ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ পড়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের।

বুধবার কিছুটা হলেও স্বস্তি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর ওই পাঁচজনকে এ দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে হড়মা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই পাঁচজন। বড়মা হাসপাতালের সুপার ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘চিকিৎসার পর ওই পাঁচ জনের দু-বার করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁদের এ দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’

বড়মা হাসপাতালে এখনও আটজন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সম্পর্কে ভাস্কর বলেন, ‘‘চিকিৎসার পরে বাকিদের মধ্যে সাত জনের প্রথমবারের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ঘাটালের এক গাড়ি চালকের রিপোর্ট পজ়িটিভই এসেছিল। তবে সকলের দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি।’’

পাঁশকুড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রৌঢ়া বর্তমানে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংস্পর্শে আসা ১৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। ১৪ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট আগেই নেগেটিভ এসেছিল। এ দিন বাকি সকলেরই পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। পাঁশকুড়া ব্লকের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ার প্রৌঢ়ার সংস্পর্শে আসা ১৪ জনের প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এটা খুবই স্বস্তির বিষয়।’’

এ দিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি সিল করে দেয় পুলিশ। এতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এতে খাদ্য খাদ্য সামগ্রী পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ বিলিও হয়নি। এই অভিযোগে এদিন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক বাসিন্দা কাউন্সিলর দেবব্রত আচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অবিলম্বে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ বিলি ও রশন সামগ্রী বিলির দাবি তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।

প্রায় একঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দা তারাশঙ্কর দাস বলেন, ‘‘শনিবার থেকে গোটা ওয়ার্ড সিল হয়ে রয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোতে পারছি না। করোনা সংক্রমণের ভয়ে রেশনে গেলেও কিছু মানুষ বাধা দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী নিতে। এ দিকে পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে না।’’

ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিতে ওঠে বিক্ষোভ। এই বিষয়ে কাউন্সিলর দেবব্রত বলেন, ‘‘কিছু ত্রাণ এসেছে। সেগুলি বুধবার বিলি করব। বাড়ি বাড়ি রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Haldia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy