ফাইল চিত্র
স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেই মাস্কের আকাল। চেয়েও মাস্ক পাচ্ছে না জেলার হাসপাতালগুলি। সূত্রের খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৫ হাজার মাস্ক (ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল) চেয়েছে। আপাতত মিলবে না কি মোটে ৫০টি! রাজ্য থেকে না কি এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, এখন মাস্ক অপ্রতুল। জোগান বাড়লে পরবর্তী সময়ে আবার জেলাকে দেওয়া হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলি তো চেয়েও মাস্ক পাচ্ছে না?
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার স্বীকারোক্তি, ‘‘জেলাতেই মাস্ক নেই। তাই হাসপাতালগুলিকে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্যের কাছে মাস্ক চাওয়া হয়েছে। কিছু আসার কথা। এলে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হবে।’’ জানা যাচ্ছে, সাড়ে ৬ হাজার মাস্ক চেয়েছে জেলা। এর মধ্যে ৫ হাজার ‘ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল মাস্ক’। বাকি দেড় হাজার এন- ৯৫ মাস্ক। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বীকারোক্তি, ‘‘এন- ৯৫ এবং ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল, দু’টি মাস্কেরই এখন খুব আকাল। আমরা জেলা থেকে যত অর্ডার করছি কিছুই পাচ্ছি না। এটা খুবই সমস্যা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বিপাকে পড়তে হতে পারে।’’
সূত্রের খবর, হাসপাতালগুলির অনেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা এখন মাস্ক ছাড়া কাজ করতে চাইছেন না। বিশেষ করে যে হাসপাতালগুলিতে কোয়রান্টিন ওয়ার্ড কিংবা আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে জেলার ৫টি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল, ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। অন্যদিকে, জেলার মধ্যে একমাত্র ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কোয়রান্টিন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক কর্মী বলছেন, ‘‘মাস্ক চেয়েছিলাম। পাইনি। শুনেছি, দিন কয়েকের মধ্যে না কি দেওয়া হবে।’’ সূত্রের খবর, আপাতত ‘এন- ৯৫ মাস্কে’র থেকেও স্বাস্থ্য দফতরের বেশি প্রয়োজন ‘ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল মাস্ক’। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ‘এন- ৯৫ মাস্ক’ করোনাভাইরাস-সহ বিভিন্ন ফ্লুয়ের ভাইরাসকে ঠেকাতে সক্ষম। শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য সব মাস্কেই ছিদ্র থাকে। তবে ‘এন- ৯৫ মাস্কে’ ছিদ্রের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। এত কম যে তা দিয়ে ২.৫ মাইক্রনের ধূলিকণা কিংবা ভাইরাস ঢুকতে পারে না। ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই বায়ুবাহিত জীবাণুকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলায় এখনও করোনা সংক্রমিতের খোঁজ মেলেনি। ফলে, সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করলেই সুরক্ষার দিকটা নিশ্চিত করা যাবে।’’
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বীকারোক্তি, ‘‘এক- দু’দিনের মধ্যেই ৫০টি মাস্ক আসার কথা। এলে আপাতত ওই হাসপাতালগুলিতেই ৮- ১০টি করে পাঠানো হবে। পরে যেমন জোগান আসবে, তেমন সরবরাহ করা হবে।’’ তিনি মানছেন, ‘‘করোনার জেরে হঠাৎ করেই মাস্কের আকাল দেখা দিল। আমাদের কাছে আগে থেকে বেশি মজুতও ছিল না। থাকলে এই সমস্যা হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy