Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Health

ভাইরাসে ভয়, ঘরে ফেরার আগেই পরীক্ষার আর্জি

সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ধরেছেন বলে পরবারের কাছ থেকে জানতে পারেন প্রতিবেশীরা।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩০
Share: Save:

দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের তালিকায় মহারাষ্ট্রের নাম রয়েছে শীর্ষে। সেই মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে জেলায় ফিরছেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের এক ব্যক্তি। সেই খবর পেয়েই উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। ওই ব্যক্তির ফেরার আগেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষার আর্জি জানিয়ে স্থানীয় বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতিবেশীরা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, তমলুকের ডিমারি এলাকার আস্তাড়া গ্রামের এক যুবক কর্মসূত্রে ঠাণেতে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ধরেছেন বলে পরবারের কাছ থেকে জানতে পারেন প্রতিবেশীরা। আর তার পরেই মঙ্গলবার সকালে শহিদ মাতঙ্গিনীর বিডিও’র কাছে গিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামে ফেরার পরেই যাতে ওই যুবকের শারিরীক পরীক্ষা করানো হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ব্লক প্রশাসন ইতিমধ্যেই ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর শারিরীক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে খবর। প্রয়োজনে হাসপাতালে রেখেও তাঁকে পর্যবেক্ষণে করা হতে পারে। শহিদ মাতঙ্গিনীর বিডিও সুমন মণ্ডল বলেন, ‘‘ঠাণে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তি বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরেছেন। আজ, বুধবার সকালে তাঁর ট্রেন থেকে এখানে নামার কথা। ওঁর পরিবারের সাথে কথা বলে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। তবে দূরপাল্লার ট্রেনে ফেরা ব্যক্তিদেরও চেকিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।’’

শুধু ওই ব্যক্তি নন, জেলার বহু মানুষ কর্মসূত্রে জেলার বাইরে থাকেন। তাঁদের অনেকেই এখন বাড়ি ফিরছেন। আর এতেই আতঙ্কতি হচ্ছেন এলাকাবাসী। রবিবারই কাঁথি-১ ব্লকের মাজনা পায়ারদ্বীপে জাপান ফেরত এক ব্যক্তির বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর-সহ সব মহকুমা এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, বিদেশ থেকে ফেরা জেলার ৪৯ জনকে হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘হোম কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওই সব ব্যক্তিদের ন্যূনতম ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদি করোনা উপসর্গ মেলে, তা হলে চিকিৎর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও পঞ্চায়েতগুলিকে পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। তবে করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে এখনও জেলার কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Health Coronavirus Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy