খড়্গপুর স্টেশনে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র
ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করছেন বহু যাত্রী। সড়কপথে আন্তঃরাজ্য সীমানায় আগেই নাকা করে চালু করে চলছিল পরীক্ষা। এ বার রেল স্টেশনেও ‘থার্মাল স্ক্যানার’ দিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা চালু হল!
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজ্য ও রেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে খড়্গপুর রেলস্টেশনে এই নজরদারি চালু হয়েছে। রাজ্যের ও রেলের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিটি যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে ‘থার্মাল স্ক্যানার’ দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। আপাতত প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা এই নজরদারি চলবে। সোমবার এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে করোনা সতর্কতায় জেলা প্রশাসনকে রেলপথে নজরদারি চালুর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই এ দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছন মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল। এছাড়াও রেলের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে যান সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী। দীর্ঘ আলোচনার পরে রেল-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে করোনা সতর্কতায় সর্বক্ষণের জন্য এই পরীক্ষা চালুর কথা বলা হয়। তার পরেই স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের তিনটি ঢোকা-বেরনোর পথেই এই নজরদারি শুরু হয়।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সড়ক পথে যাতে কোনও ভাবে করোনা আক্রান্ত কেউ এই রাজ্যে আসতে না পারেন সেই নজরদারি চলছে। জেলার একমাত্র আন্তঃরাজ্য সীমানা দাঁতনের সোনাকানিয়াতে চলছে নাকা। ওড়িশা হয়ে এই রাজ্যে আসা সকলকে পরীক্ষা করা হচ্ছে ওই নাকায়। তবে বাদ ছিল রেলপথ। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বলেন, “সড়কপথে ভিন রাজ্যে থেকে আসার ক্ষেত্রে আগেই আমরা পরীক্ষা শুরু করেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সে রেল স্টেশনে নজরদারির কথা বলেছিলেন। তাই আমরা দেরি না করে রেলের সঙ্গে বৈঠক করে থার্মাল গান দিয়ে রেল যাত্রীদের পরীক্ষা শুরু করলাম।” ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “এই খড়্গপুর স্টেশনে ভিন রাজ্য থেকে বহু মানুষ আসায় করোনার সতর্কতায় এই ব্যবস্থা চালু করা হল।”
এ দিন খড়্গপুর স্টেশনের উত্তর দিকের মালগুদাম সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে স্টেশনের দক্ষিণে বোগদার দিকেও একটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ দিকের সাবওয়ে ও ফুটব্রিজ দিয়ে আসা সমস্ত যাত্রীকে ওই থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কিছুক্ষেত্রে যাত্রী কোথা থেকে আসছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সন্দেহ হলে পরীক্ষা করা হয়। খড়্গপুরের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস বলেন, “প্রাথমিক ভাবে যাত্রীরা কোথা থেকে আসছেন, করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন কিনা তার ইতিহাস নিচ্ছি। থার্মাল স্ক্যানার দিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও মধ্যে সংক্রমণ থাকতে পারে মনে করলে কোয়রান্টিন করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy