ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেও পর্যটকদের না যেতে অনুরোধ করার পাশাপাশি সেখান থেকে ফিরে আসতেও বলা হয়েছে।
হোলি উপলক্ষে টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটক দিঘায় গিয়েছেন। রয়েছেন বিদেশি পর্যটকেরাও। কিন্তু করোনা নিয়ে নানা সতর্কতা থাকলেও সমুদ্রস্নানে কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেখা গিয়েছে। তবে এর মধ্যেই মঙ্গলবার দিঘার সমস্ত হোটেল মালিকদের নিয়ে করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা সভা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসনিক ভবনে ওই সভা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কী করা উচিত এবং কী করা অনুচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভার পর দিঘা-ওড়িশা সীমানায় উদয়পুর এবং রামনগরের কাছে সন্তোষপুর এলাকায় জেলা প্রশাসনের শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। সেখানে আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে দুই রাজ্যে যাতায়াতকারী লোকেদের কী ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তাঁদের কী ধরনের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে সে সম্পর্কে খোঁজ নেন জেলাশাসক।
বৈঠক শেষে রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ও দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জেলা প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে। তবে পর্যটকদের উপরে নজর রাখা এবং সুইমিং পুল ও বড় ধরনের জমায়েত এড়াতে কমিউনিটি হলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি আরও জানান, এখনও সমুদ্রে স্নান নিয়ে কোনও নিষেধ থাকছে না। পর্যটকেরা স্নান করতে পারবেন।’’
জেলাশাসক বলেন, ‘‘হোটেল মালিক ও কর্মচারী সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে সকলকে চলতে হবে এবং পর্যটকদেরও তা মানতে হবে। কোনও পর্যটকের মধ্যে সেরকম উপসর্গ দেখা গেলে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এর জন্য আমরা ফোন নম্বরও দিয়েছি। সমুদ্র স্নানের উপরেও নজর রাখা হয়েছে।’’ তবে তিনি জানান, করোনা আতঙ্কে আগের তুলনায় দিঘায় পর্যটক কম আসছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy