প্রতীকী ছবি
শরীরে করোনার জটিল উপসর্গ মেলায় রেলশহরের এক যুবককে বুধবার বিকেলে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুরের আইসোলেশনে রেফার করা হল। এদিন তাঁর শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ করোনার উপসর্গগুলি ধরা পড়ে। তারপরই উপযুক্ত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হলেও, তাঁর পরীক্ষা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে।
কারণ মেদিনীপুর মেডিক্যালে করোনার নমুনা পরীক্ষার নির্দেশের পাঠানোর পর কিট এলেও, তা চালু না হওয়াতেই জটিলতা দেখা দিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “এতদিন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছিল। তবে এখন মেদিনীপুর মেডিক্যালে কিট এসেছে। এ বার রোগীর পরীক্ষার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা দেখা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, খড়্গপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁজোয়াল এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক ভুবনেশ্বরের একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজের পড়ুয়া।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতে ভুবনেশ্বর থেকে খড়্গপুরে ফেরেন ওই যুবক। তারপর তিনি বাড়িতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অস্বস্তি হওয়ায় মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষার পরে বাড়িতেই কোয়রান্টিনে থাকতে বলেন। অবশ্য তখনও ওই যুবকের শরীরে জ্বর ছিল না। কিন্তু এদিন ফের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই যুবককে। সেই সময়ে যুবকের শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ ছিল। পরে শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই ছুটে আসেন খোদ হাসপাতালের সুপার। তিনি নিজেই ওই যুবকের শারীরিক পরীক্ষা করেন। দেখা যায় জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়াও করোনার অন্যতম উপসর্গ হিসাবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন রেট ৯৪-এর নীচে রয়েছে। দ্রুত ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই যুবকের গত মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই নিয়ম মেনে কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন করোনার অধিকাংশ উপসর্গ থাকায় নমুনা পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে যোগাযোগ করি। ওখান থেকে রোগীকে রেফার করতে বলা হয়।”
অন্য দিকে, সন্দেহজনক উপসর্গের এক রোগীকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির বাসিন্দা ওই যুবক বেঙ্গালুরু থেকে জ্বর-সর্দির উপসর্গ নিয়ে গত রবিবার গ্রামে ফিরেছিলেন। তিনি বেঙ্গালুরুতে একটি সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতেন। ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু থেকে আসা জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে আসা ওই যুবককে এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy