Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আসেনি ছুটির সরকারি নির্দেশিকা
Chief Minister

জেলায় চালু অঙ্গনওয়াড়ি, বিলি খাবার

করোনার জন্য রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতা হিসাবে গত ১৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  ছুটি ঘোষণা করে। পরে গুরুত্ব বুঝে সেই ছুটি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

 মুখ্যমন্ত্রীর ছুটি ঘোষণার পরেও চলছে খুদেদের পড়াশোনা। মঙ্গলবার পটাশপুর-২ ব্লকের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর ছুটি ঘোষণার পরেও চলছে খুদেদের পড়াশোনা। মঙ্গলবার পটাশপুর-২ ব্লকের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩৯
Share: Save:

করোনা সতর্কতায় বন্ধ হয়েছে স্কুল কলেজ-সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সরকারি ভাবে সোমবার ছুটি ঘোষিত হলেও স্কুলে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা আসেনি। ফলে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়েই মঙ্গলবার সকালে খোলা থাকল জেলার বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি। যদিও করোনার ভয়ে অনেক অভিভাবকই এদিন অঙ্গনওয়াড়িতে ছেলেমেয়েদের পাঠাননি।

করোনার জন্য রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতা হিসাবে গত ১৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে। পরে গুরুত্ব বুঝে সেই ছুটি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেও সেই ছুটি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছুটি ঘোষণার পর কোনও নির্দেশিকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মঙ্গলবার সকাল দশটা পর্যন্ত আসেনি। টেলিভিশনে ছুটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শোনার পর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোনও কোনও শিক্ষিকা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফোনে ব্লক প্রকল্প আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু তাঁরাও কিছু জানাতে পারেননি। তবে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের জেলা প্রকল্প আধিকারিক মিঠু আচার্য বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার বিষয়ে দফতর থেকে এখনও নির্দেশিকা আসেনি। তাই নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত যে ভাবে চলছিল সেভাবেই চলবে।’’

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও মঙ্গলবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলা থাকায় অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানান অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৭টি শিশুবিকাশ প্রকল্পের অধীনে মোট ৬০২৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একজন কর্মী এবং একজন রাঁধুনি রয়েছেন। এছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে সুপারভাইজার আছেন। প্রতিটি শিশু বিকাশ প্রকল্পে একজন আধিকারিক রয়েছেন। কেন্দ্রগুলিতে ৩-৬ বছর শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ও এলাকার প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে ঘোষণার সময় আরও জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু এবং প্রসূতিদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু এবিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা না আসায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। নন্দকুমারের আলাশুলি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী বাসন্তী খাঁড়া বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকারিভাবে আমাদের কাছে নির্দেশিকা আসেনি। তাই সোমবারের মতোই এদিনও সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খুলেছি। শিশু ও প্রসূতিদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক অভিভাবক আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কেন খোলা থাকছে।’’

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ থাকার সময় শিশু ও প্রসূতিদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণার কথা জানতে পেরেছি। কিন্তু এ ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী কী ভাবে দেওয়া হবে তা জানতে পারছি না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Chief Minister Anganwadi Health Government Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy