এই ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। —নিজস্ব চিত্র
গলায় জুতোর মালা। তিনি হাতজোড় করে ভয়ে কাকুতি মিনতি করছেন।
কাঁথি মহকুমার শেরপুর তেলেঙ্গাবাড়ের বাসিন্দা কাঞ্চন কুমার গিরির এমনই ছবি রবিবার ভাইরাল হওয়ায় শোরগোল পড়ে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রচুর টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন এই অভিযোগে তাঁর গলায় জুতোর মালা পরানো হয়েছে বলে খবর ছড়ায়। এমন ছবি ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারে অভিযুক্ত কাঞ্চনকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে তাঁকে যারা মারধর করে এমন ছবি তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন। তবে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানায় পুলিশ। তবে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে কাঞ্চনের দাবি।
কাঞ্চনের দাবি, যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা গত ২ জুলাইয়ের ঘটনা। সে দিন সকাল ৯টা নাগাদ তিনি ব্যবসার কাজে বাইকে চেপে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কাঁথির সুশান্ত সরণির কাছে হঠাৎ কয়েকটি মোটরসাইকেলে জমা পনেরো যুবক এসে তাঁকে মারধর করে ও বাইকে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, গলায় জুতোর মালা পরিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। মারের চোটে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন একটা খালের পাড়ে রয়েছেন।
কাঞ্চনের দাবি, অপহরণকারীরা অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর স্ত্রী স্নিগ্ধাকে ফোন করতে বাধ্য করে। সেই মতো স্ত্রীকে তিনি বাড়ির জায়গার দলিল তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বলেন। সেই অনুযায়ী বাইক নিয়ে কয়েকজন যুবক কাঞ্চনের বাড়িতে গিয়ে ওই দলিল নিয়ে আসে। তারপর তারা কয়েকটি স্ট্যাম্প পেপারে ও সাদা কাগজে তাঁকে স্বাক্ষর করায়। অপহরণের ঘটনায় কাঞ্চনের স্ত্রী স্নিগ্ধা গিরি ২ জুলাই কাঁথি থানায় স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন। ওই দিনই রাতে কাঞ্চনকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির কাছে অপহরণকারী নামিয়ে দিয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে খবর। ৫ জুলাই সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ডাকযোগে কাঁথি থানায় অভিযোগ জানান কাঞ্চন। তবে কাঁথি থানার পুলিশ এমন কোনও অভিযোগ পায়নি বলে দাবি করেছে।
কাঞ্চনকে কেন অপহরণ করা হল? তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক কি না সে প্রশ্নের উত্তরে কাঞ্চন বলেন, ‘‘আমার বাবা কুসুমপুর গ্রামের কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। সেই মামলার কারণেই মন কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’ এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় কাঞ্চনকুমার গিরি, কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরির ভাই বলে দাবি করা হয়। যদিও দাবি উড়িয়ে অতনুবাবু বলেন, “আমার কোনও ভাই নেই। এই ঘটনা সম্পর্কেও আমার কিছু জানা নেই। কাঞ্চন আমার পাড়াতুতো ভাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy