আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের শুশ্রূষা। নিজস্ব চিত্র gopalpatrap@gmail.com
রাজনৈতিক হিংসা যেন পিছু ছাড়ছে না পটাশপুরবাসীর। পথসভা থেকে ফেরার পথে পুলিশের সামনে বা প্রত্যন্ত গ্রামে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যার জেরে থানার অদূরে ভাঙচুর করা হল বিজেপির সভা ফেরত টোটো ও বাইক। হামলায় আহত একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ‘দলদাস’ বলে তোপ দেগেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রবিবার পটাশপুরে বিজেপির সভা ও মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল না। তবু পুলিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করেই মিছিলের জন্য বিজেপি কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক মতিরামপুর পেট্রল পাম্পে জমায়েত করে। অশান্তি এড়াতে গোটা পটাশপুর বাজার এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যদিও পুলিশের সামনেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বাঙ্গুচক মোড়ে পাল্টা জমায়েত করতে দেখা যায় বলে অভিযোগ।
গোলমালের আশঙ্কায় মিছিল বন্ধ করে মতিরামপুর পেট্রল পাম্পের সামনে গাড়ির উপর থেকেই মিনিট দশেকের সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সভার শেষে বাড়ি ফেরার পথে দিকে দিকে পুলিশের সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সামনে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সভা ফেরত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশের সামনেই পটাশপুর স্কুল মোড়, বাঙ্গুচকমোড় সহ থানার সামনে ট্রেকার, বাইক ও টোটো থেকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। কটূক্তি করা হয়েছে বিজেপি সমর্থক মহিলাদের উদ্দেশে। ভাঙচুর করা হয় একাধিক টোটো ও বাইক। রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমও। অভিযোগ, ছবি তুলতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়েছে সাংবাদিকদের। বাড়ি ফেরার পথে প্রত্যন্ত গ্রামেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পটাশপুর-১ ও ২ মণ্ডলের কর্মী-সমর্থকেরা। কুড়ি জন বিজেপি কর্মীর গোনাড়া হাসপাতাল সহ একাধিক নার্সিংহোমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর ছেলের নেতৃত্বে পুলিশের সামনে এই হামলা চালানো হয়।
পটাশপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দুর্গাপদ পাহাড়ি বলেন, ‘‘যদি কেউ বিরোধীদের উপর এবং সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের উপর আক্রমণ করে তা হলে ঠিক কাজ করেনি। বিষয়টি দলীয় ভাবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘‘পটাশপুরে বিজেপিকে ভয় পেয়ে তৃণমূলের নেতা মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর ছেলের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। কুড়িজন বিজেপি কর্মী আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দলদাস পটাশপুর থানার ওসি দাঁড়িয়ে থেকে এতে মদত দিয়েছেন।’’
এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ বৈদুজামান বলেন, ‘‘পটাশপুরে কিছু জায়গায় সভার শেষে গণ্ডগোলের বিষয়ে এখনও কোনওঅভিযোগ আসেনি। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy