ঝাড়গ্রাম শহরে নির্মীয়মান সিনে-ক্যাফের অন্দরমহল। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ কয়েক দশকের খরা কাটিয়ে অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা শহরে তৈরি হচ্ছে সিনেমা হল। তবে ঠিক সিনেমা হল নয়, আদতে সিনে-ক্যাফে!
মুম্বইয়ের একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে ঝাড়গ্রামের দুই ব্যবসায়ীর উদ্যোগে জোর কদমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিনে-ক্যাফে তৈরির কাজ চলেছে। অরণ্যশহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম এলাকায় শ্মশান কালী মন্দিরের কাছে ঝাড়গ্রাম-লোধাশুলি রাজ্য সড়কের ধারে প্রায় ৩৪ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে সিনে-ক্যাফেটি তৈরি করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে তৈরি অর্ধ-গোলাকৃতি সিনে-ক্যাফেটিতে একসঙ্গে ১৫০ জন বসে সিনেমা দেখতে পারবেন। টিকিটের দামের সঙ্গে খাবারের দাম ধরা থাকবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাবারেও অর্ডার করা যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে আলাদা দাম দিতে হবে।
সিনে-ক্যাফের মালিক কৌশিক মহাপাত্র ও রাকেশ সোমানি জানাচ্ছেন, ঝাড়গ্রাম শহরে সিনেমা হলের অভাব পূরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করছিলেন। তবে শহরের চারটি সিনেমা হল বহু বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন অনেকেই হলে যেতে চান না। তবে তাঁরা সমীক্ষা করে দেখেছেন, এখনও একাংশ দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখতে পছন্দ করেন। ঝাড়গ্রামের একাংশ বাসিন্দা এখনও ৫২ কিলোমিটার পথ উজিয়ে খড়্গপুরের মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যান। সব দিক ভাবনা চিন্তা করে কৌশিকরা কম আসনের সিনে-ক্যাফে খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
মুম্বইয়ের একটি নামী সংস্থার ফ্যাঞ্চাইজ়ি নিয়ে ঝাড়গ্রামে সিনে-ক্যাফেটি চালু করতে চলেছেন রাজেশ ও কৌশিক। দু’জনেই জানাচ্ছেন, এ ধরনের সিনে-ক্যাফে অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। তবে এ রাজ্যে এখনও এ ধরনের সিনে-ক্যাফে চালু হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ঝাড়গ্রামেই এ ধরনের প্রথম সিনে-ক্যাফে চালু হচ্ছে। মুম্বইয়ের ওই সংস্থাটি এরপর কলকাতা, শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার-সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরও ১০টি সিনে-ক্যাফে চালু করবে। ঝাড়গ্রামের সিনে-ক্যাফেটির সঙ্গে থাকছে একটি গার্ডেন রেস্তরাঁ, শিশুদের খেলাধুলোর জায়গা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি মঞ্চ-সহ অডিটোরিয়ামও। জানা গেল, পুজোর মুখে সিনে-ক্যাফেটি চালু করার কথা ছিল। তবে দমকলের ছাড়পত্র এখনও না মেলায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরে শীতের মরসুমে সিনে-ক্যাফেটি চালু করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন কৌশিক ও রাজেশ। জানা গেল, প্রতিদিন চারটি শো দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। তবে চারটি শো’য়ে বিভিন্ন ছবি প্রদর্শিত হবে।
ঝাড়গ্রাম শহরে এক সময়ে চারটি সিনেমা হল ছিল। বহু বছর আগেই সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে একটি সিনেমা হলের ভবন ভেঙেও ফেলা হয়েছে। ২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভেঙে পৃথক ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হয়েছে। জেলা শহর এখন আড়েবহরে বেড়েছে। তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বহুতল ও বাণিজ্যিক মলও। এ বার সিনেমা হলের অভাব পূরণ হতে চলেছে জেনে খুশি দর্শকরাও।
ঝাড়গ্রাম শহরের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবলীনা দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘ঝাড়গ্রামে প্রেক্ষাগৃহ না থাকায় ভাল ছবি দেখার ইচ্ছে হলেও সুযোগ মেলে না। সিনে-ক্যাফে শুরু হলে ভাল ছবি দেখার সুযোগ পাব।’’ একটি বেসরকারি সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার রোহিত সিনহা বলছেন, ‘‘ভাল ছবি রিলিজ করলে খড়্গপুরের মাল্টিপ্লেক্সে দেখতে যাই। এ বার নিজের শহরে বড় পর্দায় ছবি দেখতে পাব জেনে ভাল লাগছে!’’
কুমিরের হানা, জখম
বহরমপুর: কুমিরের কামড়ে জখম এক যুবক ভর্তি হলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। বনদফতর সূত্রে খবর, রামপ্রসাদ চৌধুরী নামে ওই যুবকের বাড়ি বহরমপুরের আঁধারমানিকের ভরাট গ্রামে। রবিবার ভরাট গ্রামে ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমেছিলেন রামপ্রসাদ। ওই সময় তাঁকে কুমিরে কামড় দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বনদফতরের লোকজন রামপ্রসাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরাই জখম রামপ্রসাদকে সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। নদিয়া মুর্শিদাবাদের ডিএফও প্রদীপ বাউড়ি বলেন, ‘‘একজনকে কুমিরে কামড় দিয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে সেখানে কী ঘটেছে আমরা তদন্ত করে দেখছি। সেই সঙ্গে নদীতে নৌকো করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।’’
নিজস্ব সংবাদদাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy