ছত্রধর ও সোহম। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
যুবশক্তির কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম জেলায় ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করতে হবে। এমনই পরামর্শ দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী ও যুবশক্তির রাজ্যের কো-অর্ডিনেটর নির্মাল্য চক্রবর্তী।
শুক্রবার যুবশক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন সোহম ও নির্মাল্য। এ দিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় যুবশক্তির ১১ জন ডিসি মেম্বার ও ৪৬ জন ফিল্ড ইউনিট মেম্বারদের নিয়ে ঘন্টা তিনেক সাংগঠনিক সভা করেন তাঁরা। সভায় আমন্ত্রিত হিসেবে ছিলেন ছত্রধর, জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিরবাহা সরেন, জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো প্রমুখ।
এ দিন দেখা যায়, ফিল্ড ইউনিট মেম্বারদের একাংশ গত দু’সপ্তাহে নতুন করে কোনও সদস্য সংগ্রহই করেননি। বিরক্ত হয়ে নির্মাল্য বলেন, ‘‘ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করুন। কোনও সমস্যা হলে ওঁর পরামর্শ নিন।’’ সোহমও এদিন তাঁর বক্তব্যে ছত্রধরকে ‘লড়াকু নেতা’ বলে উল্লেখ করেন। সভায় ছত্রধর বলেন, ‘‘যুবশক্তিই জঙ্গলমহলের ভবিষ্যৎ। এখনও অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে বেশির ভাগ মানুষ মাটির বাড়িতে বাস করেন। যুবদের দায়িত্ব নিয়ে সেই সব মানুষের কথা তুলে ধরতে হবে। বুথস্তরে যুবশক্তির সংগঠন গড়তে হবে।’’ যুবশক্তি কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য সোহমকে জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে-গ্রামে যাওয়ারও পরামর্শ দেন ছত্রধর।
এদিন সোহম জানান, প্রত্যেক ফিল্ড মেম্বার দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট দু’শো জন করে যুবযোদ্ধা সংগ্রহ করবেন। প্রথম পর্যায়ে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০। সেটা বেড়ে হয়েছে দু’শো। এখনও পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলায় ৫২৩২ জন সদস্য (যুবযোদ্ধা) সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিন সোহম আগামী কর্মপন্থা সুনির্দিষ্টভাবে পর্দায় ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে স্পষ্ট করে দেন। প্রত্যেক যুবযোদ্ধা দশটি করে পরিবারকে নিয়ে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ খুলবেন। সেই গ্রুপের মাধ্যমে ওই পরিবারগুলির সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হবে। তার ভিত্তিতে স্থানীয় স্তরে অথবা রাজ্য থেকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।
সোহম, নির্মাল্যের জানান, মূলত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পঞ্চায়েত ও পুর এলাকার পরিষেবা, করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো, সরকারি ভাতার আওতায় না থাকা, জাতিগতশংসাপত্র পেতে সমস্যার মতো বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে যুবযোদ্ধারা কেউই কোনও সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সমস্যাগুলিকে যুবশক্তির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে। ।
জেলায় যুবশক্তির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা দশহাজার। অথচ এখনও পর্যন্ত অর্ধেক সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। যদিও সোহম পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে সদস্যরা কাজ করছেন। আমরা আশাবাদী বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছব। কর্মসূচিকে সফল করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy