নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্বভার নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতীকী ছবি।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্বভার নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি দল বিজয়কৃষ্ণের বাড়িতে এসে পৌঁছয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা মেলায় খুশি হলেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় গোটা পরিবার। বিজয়ের ছেলে রণজিৎ বলেন, “তদন্ত ভার যত ক্ষণ না কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যাচ্ছে, তত ক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি চাই।”
বিজয়কৃষ্ণের পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁকে স্ত্রী এবং ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। আরও অভিযোগ, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী এবং ছেলে সুরজিৎ। পরে বিজয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছে পুকুরপাড় থেকে। নিহতের স্ত্রী ও ছেলের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরেই পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য চাইতে গেলে তাঁদের উলটে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে। পরে জানা যায়, পুলিশ দেহ উদ্ধার করে গোপনে দেহটিকে ঘুরপথে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা না বলে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরের দিনই বিজয়ের পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। উচ্চ আদালত কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আপাতত রাজ্য পুলিশের তদন্তের উপরেই আস্থা রেখেছে আদালত।
এর পর বুধবার দুপুর নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই আধিকারিক বিজয়কৃষ্ণের বাড়িতে আসেন। জওয়ানরা কোথায় থাকবেন, কী ভাবে মৃতের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করেন তাঁরা। এর পর সন্ধ্যায় ময়নায় পৌঁছন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। যদিও বিজয়কৃষ্ণের বাড়ির নিরাপত্তায় কত জন জওয়ান থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃত বিজয়ের মেয়ে টুম্পা ভুঁইয়া পতি বলেন, “বাবার মৃত্যুর ৯ দিন পর আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা আমাদের সুরক্ষায় এসেছেন। এর জন্য তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। এই তদন্ত শুরু হওয়ার পর মাত্র কয়েক জন ধরা পড়েছে। আরও অনেক দুষ্কৃতী এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা ধরা না পড়া পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি। আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় আমরা সাহস পাচ্ছি। এ বার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যেতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy