গড়বেতার গনগনিতে একটি বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয়। নিজস্ব চিত্র।
হাত খরচ নয়, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ভেঙে লক্ষ্মীপুজো করলেন অনেক ‘লক্ষ্মী’।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল মহিলাদের হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা করে দেবেন। বাস্তবে সেই টাকায় হাত খরচ নয়, সংসারেই ব্যয় করছেন লক্ষ্মীরা। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে পাওয়া প্রথমবারের টাকায় অনেকে লক্ষ্মীর পুজোই করছেন। গোয়ালতোড়, গড়বেতায় অন্তত সেরকমই কিছু ছবি দেখা গিয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে কেউ কিনলেন প্রতিমা। কেউ আবার প্রতিমা-সহ ভোগের টাকাও দিলেন সংসারে।
পঞ্জিকা মতে তিথি পড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে অনেক বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো হয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর খরচ তুলতে গোয়ালতোড়, গড়বেতার বহু মহিলা ব্যাঙ্কে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন। পুজোর ঠিক আগে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে বেশিরভাগ মহিলার অ্যাকাউন্টেই দু'মাসের একসঙ্গে এক হাজার টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্ক ছুটি থাকায় অনেকেই তুলতে পারেননি সেই টাকা। সোমবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেই অনেক মহিলা নেমে পড়েছেন লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে। গোয়ালতোড়ের সারবোত অঞ্চলের দুই গৃহবধূ সুমিত্রা মাইতি ও আলোরানি কুণ্ডু হুমগড়ের বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে টোটো ধরার আগে বলছিলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে একসঙ্গে দু’মাসের টাকা দেওয়ায় ভালই হয়েছে। সেই টাকা তুলে ২৫০ টাকার প্রতিমা, আর ৩০০ টাকার ফল কিনেছি। বাকি টাকাও পুজোর খরচে কাজে লাগাব।’’ গোয়ালতোড়ের কোলে মোড়ের বাজারে দাঁড়িয়ে মধ্য চল্লিশের অরুণ গোস্বামী মানছেন, ‘‘স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা থেকে প্রতিমা ও ভোগের জিনিসপত্র কেনা হয়েছে।’’
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল মহিলাদের হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। হাতখরচ না করে সংসারের মঙ্গল কামনায় লক্ষ্মীপুজোর খরচ দিচ্ছেন 'লক্ষ্মী' সুমিত্রা, পদ্মা, আলোরানিরা। গড়বেতার বেনাচাপড়া অঞ্চলের মায়তার বাসিন্দা একই বাড়ির দুই জা দেবিকা ও সুপর্ণা রায় বলেন, ‘‘আমাদের আর হাত খরচের কী আছে! সংসারের খরচই তো আসল খরচ। রান্নার গ্যাস, সর্ষের তেল, মুসুর ডাল, আনাজ — সবেরই দাম প্রচুর। এইসব জোগাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে, আর হাত খরচ!’’ এই অবস্থায় লক্ষ্মীর ভান্ডারে পাওয়া টাকাকে তাঁরা মহার্ঘ মনে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন। দেবিকা বলেন, ‘‘দিদি (মমতা) লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা দিয়েছেন , এই অগ্নিমূল্য বাজারে সেই টাকাই কাজে লাগছে লক্ষ্মীর পুজোতে।’’ গড়বেতার বিধায়ক জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা মানছেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে একসঙ্গে পাওয়া দু'মাসের এক হাজার টাকা তুলে অনেক মহিলাই লক্ষ্মীপুজো করছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy