আবু তাহের। ফাইল চিত্র ।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আবুর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শেখ খুশনবি ও শেখ আমানুল্লার বাড়িতেও সিবিআই অভিযান চালায়। এদের তিন জনের বিরুদ্ধেই ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-তে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২৫ জুলাই সোমবার সিবিআইয়ের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা আবু-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে হলদিয়া মহকুমা আদালত। তার পরই বুধবার এই অভিযান চালাল সিবিআই। তাহের এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই চিল্লাগ্রামের দেবব্রত মাইতিকে খুন করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এই মামলার সাক্ষী তালিকায় আবু তাহেরের নাম ছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও ডেকে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু অভিযোগ, সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি আবু। তাঁর বক্তব্য ছিল, সিবিআইয়ের তরফে যে চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে তাঁকে কেন ডাকা হচ্ছে সে বিষয়ে বিশদে উল্লেখ ছিল না। সেই কারণেই তিনি সিবিআইয়ের কাছে যাননি।
তবে সোমবার সকালেও আবু-সহ তিন জনকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু তখনও আবু হাজিরা এড়িয়ে যান। পরিবর্তে সিবিআইকে মেল করে জানান, তিনি এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বেশির ভাগ সময়ই তিনি ব্যস্ত থাকেন। তাই তাঁকে যেন বারবার হাজিরা দিতে না বলে টেলিফোন মারফত জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়াও তাহের দাবি করেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করেছিল সিবিআই। সেই কারণেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি তিনি। তাহের বলেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এর আগে একাধিক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে বিনা বিচারে জেলে রয়েছেন তাঁরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি দেবব্রত মাইতিকে চিনিই না। আমাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
এর পরই সিবিআইয়ের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা আবু-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে হলদিয়া মহকুমা আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy