শহিদ সমাবেশের ২৪ ঘণ্টা আগেও বন্ধ তৃণমূল অফিস। নিজস্ব চিত্র
গত বছরেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। চন্দ্রকোনা রোডের বুড়ামারা, সাঁইনারা, নেপুরা, বেলাগঞ্জ-সহ কয়েকটি গ্রাম থেকে তৃণমূল সমর্থক বোঝাই বাস গিয়েছিল ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে। এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেই এলাকায় এ বার ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে কোনও পোস্টার অথবা ব্যানার চোখে পড়ল না। আজ, কলকাতার সমাবেশে ওই এলাকা থেকে কোনও বাসও ছাড়ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফল ও পাওয়ার গ্রিড নিয়ে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের জন্যই এ বার এই অবস্থা।
চন্দ্রকোনা রোডের বুড়ামারা, সাঁইনারা মৌজায় পাওয়ার গ্রিডের একটি সাবস্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারি জমির উপর নির্মীয়মাণ এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় কয়েকমাস আগে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যেখানে পাওয়ার গ্রিড গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে আম-সহ অন্য ফলের বাগান ছিল। সেইসব গাছগাছালি কেটে গ্রিড করা হচ্ছে, যা পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলবে। এলাকায় দূষণ বাড়বে। সেই ক্ষোভেই প্রস্তাবিত পাওয়ার গ্রিড এলাকায় আপাতত ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। জানা গিয়েছে, পাওয়ার গ্রিড এলাকাকে ঘিরে যে ৬ টি বুথ রয়েছে তার মধ্যে ৫টিতেই এগিয়ে বিজেপি।
পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প এরিয়া থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই সাঁইনাড়া মোড়। সেখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বন্ধ। কেন? সাঁইনারার তৃণমূল নেতা তথা সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের ফল বেরোনো পরে পার্টি অফিসের পিছনের দরজা ভেঙে টিভি, চেয়ার টেবিল চুরি হয়ে যায়। ভাঙচুরও হয়। তারপর থেকেই পার্টি অফিস বন্ধ রয়েছে।’’ চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের এক তৃণমূল নেতা জানান, গত বছর সাঁইনারা, নেপুরা সহ পাওয়ার গ্রিড এলাকা থেকে ৪টি বাস ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে গিয়েছিল। পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প এলাকাটি সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। ওই তৃণমূলের পঞ্চায়েত এলাকার সভাপতি তথা ব্লকের কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষের দাবি, ‘‘এ বার আমাদের অঞ্চল থেকে বাস ভাড়া করা হয়নি। তবে প্রকল্প এলাকার শখানেক মানুষ ট্রেনে করে কলকাতায় যাবেন। অনেকে আগেই পার্টি অফিসে চলে এসেছেন।’’ দলের ব্লক সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির পরে সাঁইনারার পার্টি অফিসটি খোলা হবে।’’
বিজেপির চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি হরেরাম সিংহের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের জনসমর্থন কমেছে। মানুষই ওদের সঙ্গে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy