বাগানে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি। নিজস্ব চিত্র
এমন সুন্দর প্রজাপতি বাগান সচরাচর চোখে পড়ে না। একেবারে একটি বাগানই তৈরি করে ফেলা হয়েছে প্রজাপতিদের জন্য। বাগানে ঢুকলেই চোখে আটকাবে হাতিশুঁড়া, পানামা রোজ ও লেন্টেনা গাছে বসে রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি। তিতলি বাগানে রয়েছে প্রজাপতিদের পছন্দের পঞ্চাশটির বেশি গাছ। এই সব গাছেই প্রজাপতি আসে, বসতে পছন্দ করে। তিতিলি বাগানের পাশেই রয়েছে সাজানো ভেষজ উদ্যান। সারা দেশ থেকেই বেছে বেছে গাছ আনা হয়েছে। পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীদের। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। এই ভেষজ উদ্যানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঋষি কৃষি’। সেখানে রয়েছে শতাধিক গাছ। কারখানার প্রশাসনিক ভবন চত্বরে কাটা পাঁচেক জমিতে তৈরি হয়েছে এই বাগান।
তিতলি বাগান ও ঋষি কৃষির সজীবতা দেখে খুশি কারখানার কর্তারাও। এই কারখানার সঙ্গে যুক্ত পরিবেশ বিজ্ঞানী সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সারা দেশ থেকে এই গাছ সংগ্রহ করে এনে লাগানো হয়েছে। বাগানে শ’য়ে শ’য়ে প্রজাপতি আসা প্রমাণ করে এখানকার পরিবেশ ভাল আছে। আমরা আমাদের গাছেও পরিবেশ বান্ধব ক্যান্টিনের পচনশীল জৈব সার প্রয়োগ করে থাকি।’’
এই ধরনের বাগান করার পরিকল্পনাই বা কেন?
হলদিয়ার এই শিল্প সংস্থার তরফে সোমনাথ দত্ত বলেন ‘‘আমাদের দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও দূষণ বিষয়ক নজরদারি চালানোর জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বাগানের মাধ্যমে আসলে দূষণের উপরে একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে নজরদারি করা যায়। সেই লক্ষ্যেই এই তিতলি বাগান। এখানে সেই সব গাছ লাগানো হয়েছিল যেখানে প্রজাপতি আসে। সে ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, বাগানে সব সময়ই শতাধিক প্রজাপতি ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’
সঞ্জয়বাবু জানান, জায়গাটি কতটা পরিবেশ বান্ধব তা দেখার জন্য করা হয়েছিল তিতলি বাগান। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল, পরিবেশ ভাল থাকলেই প্রজাপতি আসে। সেই জায়গায় ষোলোআনার জায়গায় আঠারোআনা সফল হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের এই উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy