তৃণমূলকর্মীদের নিশানা করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলকর্মীদের নিশানা করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। শাসক তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বিধায়কের দেহরক্ষীর ছোড়া গুলিতে তাদের দলের এক জন জখম হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, আগে বিধায়কের উপরেই হামলা হয়েছিল। সেই কারণে দেহরক্ষী গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছেন। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ অবশ্য দাবি করেছেন, দেহরক্ষী গুলি চালিয়েছেন কি না, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সেই ঘটনারই প্রতিবাদে বিজেপির মিছিল ঘিরে বিকেল নাগাদ উত্তেজনা ছড়াল ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার পাউসি ও বরোজ এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের মিছিল লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে তৃণমূল। ছোড়া হয়েছে গুলিও। তাতে রবীন্দ্রনাথ-সহ দলের ৭ জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিধায়কের দেহরক্ষীর ছোড়া গুলিতে ঝন্টু দাস নামে এক তৃণমূলকর্মী জখম হয়েছেন। তিনি বরোজ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। ঝন্টুকে জখম অবস্থায় মুগবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত ইট ও পাথর ছুড়ে চলেছেন এক দল লোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের বার বার সরে যেতে বলছেন। বিধায়কও উত্তেজিত হয়ে ওই ভিড়ের দিকে বারেবারে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন। এরই মাঝে ক্রমাগত পাথর ছুড়তে ছুড়তে কয়েক জন একেবারে কাছে চলে আসতে থাকেন। সেই সময়েই বিধায়কের এক দেহরক্ষী হাঁটু মুড়ে বসে কোমরে গুঁজে রাখা রিভলভার বার করে একে একে চার রাউন্ড গুলি চালান। যাঁরা পাথর ছুড়ছিলেন, গুলি চলতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে পালান তাঁরা।
এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁথির যুব তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরির দাবি, ‘‘এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতেই বিজেপি মিছিল করেছে। এলাকাকে অশান্ত করার জন্য সেই মিছিলে থাকা দেহরক্ষীরা গুলি চালিয়েছে। যার জেরে তৃণমূলের এক কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।” সুপ্রকাশের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সব রকম ভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।”
পাল্টা রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘সেই সময় প্রচুর বোমা ও গুলি ছোড়া হচ্ছিল। কর্মীদের নিয়ে কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। দেহরক্ষীরা তাঁদের কর্তব্য পালন করেছেন। তবে তাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন কি না, আমার জানা নেই। ঘটনার খবর পেয়েই কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকেরা ছুটে এসেছেন। কী ঘটেছিল, দেহরক্ষীরা কী পদক্ষেপ করেছেন, তার রিপোর্ট লিখে থানায় এফআইআর করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের বিধায়কের উপর হামলা হয়েছিল। উনি জখম হয়েছেন। বিধায়ককে বাঁচাতে দেহরক্ষীরা গুলি চালিয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy