পুলিশের এই পোশাক নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র
বিজেপি কর্মীদের উপরে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা বিনা অপরাধে লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। এই অভিযোগে সোমবার পটাশপুর সিংদা বাজারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রের খবর রবিবার সন্ধ্যায় সিংদা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে ব্রজলালপুর অঞ্চলের বিজেপি কর্মীরা সাংগঠনিক বৈঠক করছিলে। অভিযোগ, সে সময় এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয়। পাল্টা হিসাবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সিংদা বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে তাদের কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তিনজন আহত হন। খবর পেয়ে রাত ১০টা নাগাদ পটাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বিজেপির অভিযোগ, ওই সময় বিনা প্ররোচনায় সিভিক ভলান্টিয়ারেরা তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর লাঠি দিয়ে মারধর করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকালে সিংদা বাজারে এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়ক আধঘণ্টা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, হামলায় জড়িত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে। কেন বিনা প্ররোচনায় সিভিক ভলান্টিয়েরা লাঠিচার্জ করলেন, তার জবাব দিতে হবে।
অবরোধের জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে পটাশপুর থানার পুলিশ ১০টা নাগাদ অবরোধ তুলে দেয়। বিজেপি কর্মী আবার অভিযোগ করেছেন, সোমবার রাতের ওই ভলান্টিয়ারেরা জংলা পোশাক পরেছিলেন। এ নিয়ে তাদের প্রশ্ন, নির্ধারিত পোশাক ছাড়া ভালন্টিয়ারেরা কীভাবে সেনার মতো জংলা পোশাক পরতে পারে? উল্লেখ্য, এ দিন সকালেও পথ অবরোধে তুলতে যাওয়া কিছু ভলান্টিয়ারকে ওই জংলা পোশাক পরতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
পটাশপুর-১ বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি গুরুপদ বলেন, ‘‘বিনা অপরাধে জংলা পোশাকে আসা সিভিক ভলান্টিয়ারেরা আমাদের কর্মীদের লাঠি দিয়ে মেরেছে। আমাদের তরফে তৃণমূলের কোনও কর্মীকে মারধর করা হয়নি। উল্টে ওরাই আমাদের উপর হামলা করেছিল।’’
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে পটাশপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ কর্মাধক্ষ পীযূষ পণ্ডা বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে তিনজন কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে। আমাদের কেউ ওদের মারতে যায়নি। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন আভিযোগ।’’
অন্য দিকে ভলান্টিয়ারদের লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পটাশপুর থানার পুলিশও। থানা সূত্রের খবর, ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে। কোনও জংলা পোশাক পরা সিভিক লাঠিচার্জও করেনি।
কিন্তু এ দিন অবরোধ তুলতে গিয়ে যাঁদের জংলা পোশাকে দেখা গেল, তাঁরা কে? এ ব্যাপারে এগরার এসডিপিও শেখ আকতার আলি বলেন, ‘‘সিভিকদের নির্দিষ্ট পোশা রয়েছে। তা পরেই তাঁরা ডিউটি করেন। এ ক্ষেত্রে কেন কেউ ওই বিশেষ পোশাক পরেছিলেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy