Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে নন্দীগ্রাম দিবস পালন শুভেন্দুর, পাল্টা অভিজিৎকে নিয়ে খোঁচা দিল তৃণমূল

বৃহস্পতিবারের শুভেন্দুর এই সভায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন, যা নিয়ে আক্রমণ সানিয়েছে তৃণমূল।

suvendu adhikari

শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০১:১৬
Share: Save:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ জুড়ে রইল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের সমবেত আন্দোলনকে হাতিয়ার করে নন্দীগ্রামের মানুষের জমি আন্দোলনের আবেগকে উস্কে দিলেন শুভেন্দু। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে নিহত জমি আন্দোলনকারীদের স্মৃতিতে সোনাচূড়া শহিদ বেদিতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই ১৭ বছর আগেকার জমি আন্দোলনে শহিদদের সঙ্গে আজকের সন্দেশখালির লড়াইয়ের তুলনা টানলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, “গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণ থেকে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা, সবেতেই নন্দীগ্রামকে মিলিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালি। সেখানে যেভাবে গায়ের জোরে জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তার সবটাই নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি।” শুধু তাই নয়, জমি আন্দোলনের পাশাপাশি শুভেন্দু তাঁর সভা থেকে সম্প্রতি লাগু হওয়া সিএএ প্রসঙ্গও টেনে আনেন। সিএএ নিয়ে তিনি দাবি করেন, “সিএএ আইনে কোনও একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব চলে গেলে আমি পদত্যাগ করব। একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী নিজের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে পদত্যাগের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।”

যদিও বৃহস্পতিবারের শুভেন্দুর এই সভায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন, যা নিয়ে আক্রমণ সানিয়েছে তৃণমূল। সোনাচূড়ার ভাঙাভেড়া ব্রিজের কাছে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির শহীদ মঞ্চ থেকে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য কটাক্ষ করে বলেন, “অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায় দু’দিন আগেই নন্দীগ্রামের শহীদ বেদীতে দাঁড়িয়ে রাজকীয় অভ্যর্থনা নিয়েছিলেন। অথচ যে জমি আন্দোলনের সঙ্গে এখানকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে সেই শহিদ দিবসের মঞ্চে না এসে এলাকার মানুষকে অসম্মান করলেন।” অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায় কি সত্যিই আপনাদের জন্য সহানুভুতিশীল? তাহলে আজকের দিনে তিনি নন্দীগ্রামে কেন এলেন না? সেই প্রশ্ন তুলেও সরব হয়েছেন দেবাংশু। দেবাংশুর দাবি, “৬১ বছর বয়সে উনি সাংসদ হতে এসেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় নিজের পছন্দ মতো পদ বদলেছেন। এখন সাংসদ হওয়ার পর কোনও সময় তিনি যদি এই কাজ থেকে অবসর নেন তাহলে সাধারণ মানুষের কি পরিস্থিতি হবে?”

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari BJP TMC Nandigram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy